লেখকরা তার ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন তাদের লেখায়। বলছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘বাংলা কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের এ অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আলিম আজিজ ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন টেলিভিশন সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দিন।
কথা সাহিত্যিক আলিম আজিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। সাহিত্য উপাদান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ অনুপ্রেরণার উৎস। এদেশের অধিকাংশ সাহিত্যিক সাহিত্য উপাদান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে বেছে নিয়েছিল।
কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুধু সাহিত্য উপাদান নয়। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নির্মাণে সাহিত্য উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। কথা সাহিত্যে এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস খুবই সুন্দর করে ধারণ করা হয়েছে।
গেরিলা থেকে সম্মুখ সমরে, একাত্তরের দিনগুলো বইগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বইগুলোতে যুদ্ধকালীন ভয়াবহতা নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সবশেষে তার লেখা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক 'মা' উপন্যাসের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সাহিত্যিকদের জন্য বড় উপজীব্য তাদের রচনা। মুক্তিযুদ্ধ যেকোন বাঙালি সাহিত্যিকদের জন্য গৌরবের বিষয়। বাংলার কথাসাহিত্যিকরা এ গৌরবকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে তাদের লেখায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এইচএমএস/এসএইচ