ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

উত্তরায় ৩ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
উত্তরায় ৩ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক উৎসব।

ঢাকা: ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে চাই সাংস্কৃতিক আন্দোলন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তরার আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় উত্তরার রবীন্দ্রস্মরণি মুক্ত মঞ্চে এ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, গবেষক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জোটের উত্তরার সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ এবং পথ নাটক পরিষদের সাধারণ সম্পদক আহাম্মদ গিয়াস।

বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ। জোট উত্তরার সহ-সভাপতি শফিউল গণির সঞ্চালনায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক ড. সোলায়মান কবির।

সব বক্তারা এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শসমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সংস্কৃতিকর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার গুরুত্বারোপ করেন।

সবার বক্তব্যেই উঠে আসে উত্তরা ও ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে সংস্কৃতিচর্চার অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বাজেট বাড়ানো, সংস্কৃতিকর্মীদের জীবনমান সুরক্ষা করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করার জোর দাবি জানান। সংস্কৃতিচর্চাকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এর সুরক্ষায় বাজেট প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সাংস্কৃতিক উৎসব। সভাপতি মিজানুর রহমান আমন্ত্রিত অতিথিরা, উপস্থিত দর্শকশ্রোতা ও অংশগ্রহণকারী সব শিল্পী কলাকুশলী এবং উৎসবের সহযোগিতা করার জন্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলোচনার সমাপ্তি করেন।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব।

সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সহ সভাপতি, শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান, এম এ রাকীব, নমিতা দেববর্মা সাথী, অগ্নী অতুলনীয়া নূর, একক আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল, আহসান উল্লাহ তমাল, ফারজানা মালিক নিম্মী, আশরাফ-উল-আলম সবুজ, সৈয়দ এরশাদুল হক মিলন, দীপক ঘোষ, মুনিরুল ইসলাম, শফিউল গণি, সুমতি পাল, রাজিয়া জামান নাফিসা, রায়হান নাফিস, দলীয় আবৃত্তি করেন কবিতাশ্রম, দলীয় সংগীত পরিবেশনা করেন প্রার্থনা ললিতকলা একাডেমি উত্তরা ঢাকা, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন তাল কালচারাল সোসাইটি, নূপুর নৃত্য একাডেমি, আনন্দধারা, মূকাভিনয় করেন মাইম আর্ট ইউনিট, নাটকের দল গতি থিয়েটারের উপস্থাপনায় ছিলো নাটক ‘মামার আগমন’, কাব্যবিলাশের নাটক ‘হয়ে গেলো নির্বাচন’। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এ সাংস্কৃতিক উৎসব চলে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

উত্তরায় এই প্রথমবারের মতো ‘উত্তরা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৮’ শিরোনামে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।