ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লন্ডনে প্রকাশ হচ্ছে মোস্তফা কামালের উপন্যাস ‘দ্য মাদার’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
লন্ডনে প্রকাশ হচ্ছে মোস্তফা কামালের উপন্যাস ‘দ্য মাদার’ দ্য মাদার, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের উপন্যাস

ঢাকা: জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের থ্রি নভেলসের পর এবার ‘দ্য মাদার’ সাহিত্যের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্থান পাচ্ছে। সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘জননী’র ইংরেজি সংস্করণ দ্য মাদার প্রকাশ করছে বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স।

আর দ্য মাদার উপন্যাসটি লন্ডন থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করছে আমাজন।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের বিদ্যমান যে বাজার ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তার মাধ্যমেও উপন্যাসটি আন্তর্জাতিক পাঠকের হাতে পৌঁছবে।

অলিম্পিয়া দু’টি ফরমেটে দ্য মাদার প্রকাশ করছে। পেপার ব্যাক ও ই বুক ফরমেট। আমাজন চলতি মাসেই এই দুই ফরমেট বাজারে নিয়ে আসছে।

এর আগে ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে প্রকাশিত হয় মোস্তফা কামালের তিনটি উপন্যাসের ইংরেজি সংকলন ‘থ্রি নভেলস’। উপন্যাস তিনটি হলো- ‘তালিবান, পাক কর্নেল অ্যান্ড অ্যা ইয়াং লেডি (তালিবান, পাক কর্নেল এবং এক তরুণী)’, ‘ফ্লেমিং ইভেনটাইড (বারুদ পোড়া সন্ধ্যা)’ এবং ‘দ্য ফ্লাটারার (তেলবাজ)’। এই থ্রি নভেলসও সারাবিশ্বে বাজারজাত করেছে আমাজন। আর বাংলাদেশে বাজারজাত করছে বৃহত্তর অনলাইন বুক শপ রকমারি ডটকম।

২০১৪ সালে পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় জননী। প্রকাশের পরেই বইটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ইতোমধ্যেই জননীর চতুর্থ সংস্করণ বাজারে এসেছে বলে জানান প্রকাশক হাসান জায়েদী তুহিন।

তিনি বলেন, লেখকের ইতিহাসভিত্তিক তিনটি উপন্যাস অগ্নিকন্যা, অগ্নিপুরুষ এবং অগ্নিমানুষও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে পাঠক মহলে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অর্থাৎ দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালের ওপর লেখা ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে আমি মনে করি। আর পার্ল থেকে বইগুলো বের করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি।

লেখক মোস্তফা কামাল তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে বই বের হওয়া, যেকোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের চেয়েও বড় ব্যাপার বলে মনে করি। আমার সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি জননী। এই উপন্যাস দিয়েই পাঠক আমাকে নতুন করে চিনেছে এবং নতুনভাবে গ্রহণ করেছে। এটি একটি দীর্ঘ উপন্যাস। তবে আমি প্রথম অলিম্পিয়াকে উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ এবং প্রথম তিন পার্ট পাঠাই। পরে তারা পাণ্ডুলিপি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করে। হঠাৎ একদিন দেখি, অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের সম্পাদকীয় বোর্ডের প্রধান আমাকে ইমেইলে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। দীর্ঘ এ চিঠিতে তিনি উপন্যাসটি প্রকাশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া চিঠিতে উপন্যাসটি অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, আমি অলিম্পিয়াকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসঙ্গে উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদক লেখক দুলাল আল মনসুরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।