শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব রোখসানা মালেক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাট্যজন ম. হামিদ ও বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগীত শিল্পী মকবুল হোসেন ও পীযূষ বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম।
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তপন মাহমুদের গাওয়া ৫০টি রবীন্দ্রসংগীত ও ১২টি হারানো দিনের গান নিয়ে একটি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয় অনুষ্ঠানে। সংকলনটির নাম ‘সুদূরের পিয়াসী’।
অনুষ্ঠানে গানে গানে তপন মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানান মহাদেব ঘোষ, আনিসুর রহমান সিনহা, সুদেষ্ণা সান্ন্যাল ও বিশ্বরূপ রুদ্র। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বৈতালিক।
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান লায়লা হাসান, সাজেদ আকবর ছাড়াও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সুরের ধারা, বৈতালিক, রবি রশ্মি, গীতিশতদল, মন্দিরা, সংগীতভবন, উত্তরায়ণ, গীতাঞ্জলী, মহীরুহ, সৃজনশীল গানের দলসহ আরও অনেক সংগঠন।
এসময় রফিকুল ইসলাম বলেন, তপন মাহমুদ এখন যেভাবে সংগীতের মধ্য দিয়ে আমাদের অনাবিল আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন তা অব্যাহত থাকুক। তিনি শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত সাধনায় নিজেকে যেভাবে বিলিয়ে দিচ্ছেন তা সাধুবাদ পাওয়া যোগ্য। জীবনের শেষ দিনটিতেও যেনো তার কণ্ঠে গান থাকে।
সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, তপন মাহমুদ এখন যেমন আছেন, আশা করি সামনের দিনগুলোতে তেমনি থাকবে তার সুমধুর কণ্ঠ দিয়ে।
আশরাফুল আলম বলেন, শুধু সংগীত শিল্পী নন, একজন বলিষ্ঠ সংগঠকও। সব কিছু মিলিয়ে তপন মাহমুদ এক পরিপূর্ণ গানের মানুষ। আশরাফুল আলম পরে তপন মাহমুদকে নিবেদিত করে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী থেকে অংশ পাঠ করে শোনান।
তপন মাহমুদ তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আজীবন সাধনা করে যাবো শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে। এ জন্য সবার দোয়া চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এইচএমএস/জিপি