তারা হলেন- কথাসাহিত্যে ‘যূথচারী আঁধারের গল্প’ গ্রন্থের জন্য নাহিদা নাহিদ এবং ‘তিস্তা’ গ্রন্থের জন্য হারুন পাশা। প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটক বিভাগে ‘হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র: চিরায়ত রসবোধ’ গ্রন্থের জন্য শাহাদৎ রুমন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা ও প্রবন্ধ বিভাগে ‘একাত্তরের রমজান: গণহত্যা ও নির্যাতন’ গ্রন্থের জন্য আরাফাত তানিম।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যাপক কায়সার হক এবং কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে পুরস্কৃতদের অভিনন্দন জানান কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, এ পুরস্কার তাদের কাজের স্বীকৃতি। এই পুরস্কার বাড়িয়ে দিল সাহিত্যচর্চায় তাদের মননের স্পৃহাকে। পাশাপাশি সাহিত্য রচনায় তাদের মধ্যে নতুন করে দায়বোধ জাগ্রত হলো।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য কেউ লেখে না, এ কথা যেমন সত্য তেমনি পুরষ্কারপ্রাপ্তিতে উৎসাহিত হয় লেখক। পুরস্কারের কারণে লেখকের দায়িত্ব বেড়ে যায়। এই বিবেচনাতেই পুরস্কারের প্রকৃত সার্থকতা। আর তারুণ্যের একটা নিজস্ব শক্তি আছে। তারুণ্য নিজের পথ কেটে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এ শক্তিকে সংবর্ধিত করা প্রয়োজন। এ বোধ থেকেই তরুণদের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, তরুণ লেখক ও প্রবীণ লেখক দুই জনেরই বেদনা অভিন্ন। প্রবীণ লেখক নতুন সৃষ্টি করতে গিয়ে যে যন্ত্রণা অনুভব করেন, নবীন লেখকও একই যন্ত্রণা অনুভব করেন। শিল্প মানেই ব্যর্থ হওয়া, শিল্পী মানেই ব্যর্থতার বংশীবাদক।
অধ্যাপক কায়সার হক বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তরা কেউই তরুণ নয়, পরিপক্ব। বর্তমানে কবি সাহিত্যিক ও পাঠকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে যা প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের সরোদবাদনের সঙ্গে হাসান আরিফের কবিতা আবৃত্তির যুগলবন্দি পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন কালি ও কলম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ