শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে ‘৩৩তম জাতীয় কবিতা উৎসব-২০১৯’-এ সভাপতির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কবি মুহাম্মদ সামাদ একথা বলেন।
‘বাঙালির জয়, বাঙালির কবিতা’ শ্লোগান সামনে রেখে জাতীয় কবিতা পরিষদের আয়োজনে কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী।
দু’দিনব্যাপী এ উৎসব প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মুক্ত আলোচনা ও কবিতা পাঠ, আবৃত্তিপর্ব, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গান, পুরস্কার প্রদান পর্ব ও বিদেশি ভাষার কবিতার আসর দিয়ে এবারের কবিতা উৎসব সাজানো হয়েছে।
কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয় বাঙালি ও কবিতার বিজয়। জাতির দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এ এক নতুন বিজয় বাঙালির, নতুন বিজয় কবি ও কবিতার। বাংলাদেশে আর কোনোদিন যেন মুজিববিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অন্ধকারের শক্তি মাথা তুলতে না পারে এখন আমাদের সেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার সময়।
উদ্বোধনকালে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রবল রাজনৈতিক সঙ্কটের মুহূর্তে জাতীয় কবিতা পরিষদ গোটা জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে। পল্লীকবি থেকে বিশ্বকবি দেশ বন্দনার অমর দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন যা আমাদের এক অম্লান প্রেরণা। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, স্বৈরাচারবিরোধী জাতীয় কবিতা পরিষদ স্বাভাবিকভাবেই বলতে চায়- বাঙালির জয় কবিতার জয়।
কবিতা উৎসব উদ্বোধনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতে এবং পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, একুশের গান ও উৎসব সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এবারের উৎসব শুরু হয়।
উৎসবে বিদেশি অতিথি হিসেবে ভারত থেকে এসেছেন জ্যোতির্ময় দত্ত, মিনাক্ষী দত্ত, তুরস্ক থেকে তারিখ গুনেরসেল, যুক্তরাজ্য থেকে ক্লাইরি বুকার, চীন থেকে ড. তানজিয়ান চাই, শ্রীলঙ্কা থেকে জয়শংকর, ইরাক থেকে ড. আলী আল সালাহ, মালয়েশিয়া থেকে মালিম ঘোযালি প্রমুখ। উৎসবের প্রথম দিন চারটি পর্বে কবিতা পাঠ করা হয়েছে। এছাড়া ছিল আবৃত্তিপর্ব ও মুক্ত আলোচনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এসকেবি/এএ