১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর পহেলা ফাগুনে একজন বরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিককে এ পুরস্কার দেয় নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ।
শুক্রবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ পহেলা ফাল্গুন শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরের বকুলতলায় ২৩তম ‘বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর প্রতিথযশা সাহিত্যিক ড. রফিকুল্লাহ খান ও কবি মারুফুল ইসলামকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।
সাইফুল্লাহ এমরান জানান, ওই দিন ফাল্গুনের প্রথম সকালে বকুলতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন ও ভাষা শহীদসহ সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে উৎসব উদ্বোধন করা হবে।
এরপর হায়দার-শেলী স্মৃতি সঙ্গীত বিদ্যানিকেতনের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বসন্ত বন্দনা। সকাল ১০টায় বের করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা, স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠ, গল্প পাঠ, সাহিত্য আড্ডা, নতুন প্রকাশিত বইয়ের পাঠ উন্মোচন এবং আলোচনা। উৎসবের শেষ দিনে থাকছে গান, আবৃত্তি ও বাউল গান।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে এর আগে ২৩ জন কবি-সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নেত্রকোণা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবি সাহিত্যকরা প্রতিবছর এ উৎসবে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এসআই/