টিবলিসি ফটোগ্রাফি এবং মাল্টিমিডিয়া মিউজিয়ামের যৌথ আয়োজনে এবং ঢাকাস্থ জর্জিয়ার অনারোরি কনস্যুলার কার্যালয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত জর্জিয়ার অনাররি কনস্যুলার রিয়াদ মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বে এজ ওয়াটার গ্যালারিতে ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে প্রদর্শনীর। প্রদর্শনী চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত।
রিয়াদ মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কঠিন চাপ আসলে তবেই এর সমাধান হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আরও প্রচারণা চালানোর জন্য আমরা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। আন্তোনিও ডি অগাতার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ফটোগ্রাফারের তোলা ছবির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা বিশ্ববাসীর সামনে আরও ভালোভাবে উঠে আসবে।
তিনি আরও বলেন, সংকট মোকাবিলায় আমাদের যে দায়বদ্ধতা আছে সেই জায়গা থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। তারই একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস এই প্রদর্শনী।
বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে রিয়াদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জর্জিয়ার সব সময় সুসম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জর্জিয়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের সরকারের বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে। আমরা ইতোমধ্যেই পরিষ্কারভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব সময় জর্জিয়াকে পাশে পাবে ঢাকা। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে যত পদক্ষেপ নেবে যেমন কোনো রেজুলেশন প্রস্তাব করা হলে জর্জিয়া বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেবে, প্রয়োজনে ভোট দেবে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মহলকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে এ ধরনের আরও পদক্ষেপ জর্জিয়া সরকারের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অনারারি কনস্যুলার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর