চতুর্থ দিনে উদ্বোধন করা হয় ডাচ আলোকচিত্রী য়ান ব্যানিংয়ের প্রদর্শনী ‘রেড উথোপিয়া’র। উদ্বোধনের পর প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান শিল্পীর সঙ্গে কথোপথনের মধ্য দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের প্রদর্শনী সম্পর্কে ধারণা দেন।
প্রদর্শনীটিতে ঠাঁই পেয়েছে ভারত, নেপাল, ইতালি, পর্তুগাল ও রাশিয়া তথা পাঁচ দেশের আলোকচিত্র। দেশগুলোর সাম্যবাদ ও স্থানীয় মানুষের চিন্তাধারা ফুটিয়ে তুলছে ছবিগুলো।
এর আগে সকালে উৎসবের অংশ হিসেবে দু’টি আলোচনার আয়োজন ছিল গ্যেটে ইন্সটিটিউটে। সুইস ফাউন্ডেশন অব ফটোগ্রাফির পরিচালক ও কিউরেটর পিটার ফ্রানডারের উপস্থাপনায় ছিল ‘মিররস অ্যান্ড মেমরিজ: আরকাইভাল প্র্যাকটিসেস বিয়ন্ড ডক্যুমেন্টেশন’। আরেকটি আকর্ষণ ছিল উৎসব পরিচালক শহিদুল আলমের উপস্থাপনায় ‘মফুসিল ফটোগ্রাফি অব বাংলাদেশ’। উপস্থাপনাটি বাংলাদেশের স্টুডিও ফটোগ্রাফির ভিস্যুয়াল ইতিহাসকে পুনরায় আবিষ্কার করে এবং দেশের মফস্বলি আলোকচিত্রীদের কাজ দেখার সুযোগ করে দেয়।
দুপুরে উৎসবের আয়োজনে ছিল গ্যেটে ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে ভারতীয় লেখিকা, কিউরেটর ও শিক্ষক আলিশা সেঠ এবং লেখিকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ইতিহাসবিদ সামিয়া খাতুনের অংশগ্রহণে এবং নেপালি কিউরেটর, শিল্পী ও অ্যাক্টিভিস্ট নয়নতারা গুরুং কাকশাপাতির সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনা ‘এনগেজিং দি আরকাইভ: স্টোরিটেলিং অ্যান্ড স্কলারশিপ’।
ছবি মেলার এবারের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২১টি দেশের ৪৪ শিল্পীর কাজ নিয়ে ৩৩টি প্রদর্শনী। উৎসবে আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে থাকা বিশিষ্ট আলোকচিত্র অনুশীলনকারীদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর ৮টি কর্মশালাও। উৎসব চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/