বৈচিত্রপূর্ণ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এক অনুপম লীলাভূমি বাংলাদেশ হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারী। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আচার অনুশীলন, জীবনচিত্র ও বিভিন্ন সুকুমার বৃত্তি আমাদের সংস্কৃতির তাৎপর্যপূর্ণ অংশ।
বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিজাম উদ্দিন, আদিবাসী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এবং প্রদর্শনীর প্রধান সমন্বয়কারী শিল্পী কনক চাঁপা চাকমা। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
আয়োজনের শুরুতেই বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব নৃত্য এবং সংগীত পরিবেশন করেন আদিবাসী শিল্পীরা। এসময় তারা নৃত্যে কাঁখে জল আনা, লাঠি নিয়ে নিজস্ব নৃত্যসহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ফুটিয়ে তোলেন।
বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বসবাস। সেসব জাতিগোষ্ঠীর অধিকাংশেরই রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। পরিচর্যা ও সংরক্ষণের অভাবে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গগুলো যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সেগুলো সংগ্রহপূর্বক চিত্রশিল্পে উপস্থাপনের জন্য এ প্রদর্শনী বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, দীর্ঘপথ পরিক্রমায় ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে গ্যাজেটে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। একাডেমির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক জীবনচিত্র নিয়ে এই আয়োজন।
তিনি জানান, ৫০ জন শিল্পী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। তারা বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার তথ্য-উপাত্ত, স্থিরচিত্র এবং ক্ষেত্রবিশেষ স্কেচ তৈরি করেছেন। যা ক্ষুদ্র জাতিত্তার পরিচয় বহন করবে।
প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৫০ জন শিল্পীর ১৫০টি চিত্রকর্ম। শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালার ১নং গ্যালারিতে স্থিরচিত্র এবং ক্ষেত্রবিশেষ স্কেচের মাধ্যমে তৈরি এসব চিত্রকর্মের প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৯
এইচএমএস/টিএ