রোবাবার (১৭ মার্চ) সকালে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে একাডেমির পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি।
এরপর সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো’ শীর্ষক শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান।
বিকেল ৫টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক রাহাত খান এবং অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই ভূখ-ের মানুষ বাংলাদেশ নামটির সঙ্গে পরিচিত হতে পারত না। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শুধু একটি স্বাধীন ভূখ- উপহার দেন নি বরং একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গঠনের অন্তহীন প্রেরণা দিয়ে গেছেন।
রাহাত খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের মাপ ছিল ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল। শৈশব থেকেই সাহস, সংকল্প ও দেশ্রপ্রেমের অপর নাম ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তৃণমূল থেকে তার শক্তি সঞ্চয় করেছেন এবং ক্রমশ সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়াকে পরিণত করেছেন রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে বিশ্বসভায় এক বিস্ময়ের নাম।
অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনীতির দিকপাল ছিলেন না, একই সঙ্গে অর্থনীতি, সমাজনীতি, সমরনীতি- সবক্ষেত্রেই তার দূরদর্শিতা ছিল অসামান্য। তিনি তার ব্যক্তিত্ব ও অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক নেতায় পরিণত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশের মানুষের বন্দীত্ব-মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের এক বিশাল অংশ কাটিয়েছেন কারাগারে। আত্মশক্তিতে বিশ্বাসী হয়ে ধাপে ধাপে অগ্রসরমান এই নেতা দেশকে সবসময় ব্যক্তি ও পরিবারের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, আলম আরা মিনু এবং অনন্যা আচার্য্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/এমকেএম