সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ফেনী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে লেখক-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন গণ্যমাণ্য লোকের সমাগম ঘটে।
তরুণ সংগঠক শরীফুল ইসলাম অপুর সঞ্চালনায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকতা নুরুল অবছার ভূঁঞা, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন।
বক্তব্যে ফেনী জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে দেশকে জানা হয় না। ছোটদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে জানানোর যে প্রচেষ্টা বইটির মাধ্যমে নেয়া হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
সভাপতির বক্তব্যে আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, বইটি দেখে মনে হয়েছে, ছোটরা চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুকে জানতে। নিজেদের মতো করে বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে। বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে চলছে। সুন্দর বইটির মাধ্যমে শিশুদের উৎসাহিত করা হলো।
বইটি সম্পর্কে রিজভী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা আশি ও নব্বইয়ের দশকে লেখাপড়া করেছি, তখন পাঠ্যবইগুলোতে কৌশলে দেশ ও জাতির ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে পাঠ্যবইয়ে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আজকের প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছে। তাদের জানার পরিধিও বিস্তৃত হচ্ছে। গ্রন্থটি মূলত তাদের আরো আগ্রহী করে তুলতে একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। ছাপার অক্ষরে লেখাগুলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে জানতে তাদের আরো বেশি আগ্রহী করবে বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/