ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভালোবাসায় স্মরণ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
ভালোবাসায় স্মরণ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর স্মরণসভা

ঢাকা: ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্মরণসভায় এসে কোনো গুণী ব্যক্তিকে স্মরণ করে কবিতা পড়ছেন, এমনটা খুব বিরল। কিন্তু হলো তাই। কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে স্মরণ করতে এসে তিনি পাঠ করলেন কবির কবিতা ‘আমি ভালোবাসা চেয়েছিলাম’।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে স্মরণসভা আয়োজিত হয়। কবির কবিতা-গান আর গুণীজনদের বিশ্লেষণে এ আয়োজনে নতুন রূপে মূর্ত হয়ে ওঠেন তিনি।

সন্ধ্যায় আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে আরো কথা বলেন কবি আসাদ চৌধুরী, কবির সহোদর রাশেদ খান মেনন, কবি রবিউল হুসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

আয়োজনে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহকে স্মরণ করে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, তিনি ছিলেন আগাগোড়া একজন কবি। তিনি বেঁচেছিলেন কবিদের মতো। তিনি কবিতা শোনা ও পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন কবিতার বাতিঘর। তিনি শোষণের যাবতীয় সুতোগুলোকে বুঝতে পারতেন। আর এই কবি প্রচলিত ভাষায় লিখলেও তা কারোর সঙ্গেই মেলানো যাবে না।

কবির সহোদর রাশেদ খান মেনন বলেন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ যেমন কবি ছিলেন, তেমনি একজন পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার বিভিন্ন কবিতায় পরিবারের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে তিনি মাকে নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা। আর এটা শুধু পারিবারিক ইতিহাস থেকে নয়, তার কবিতার প্রবাহের ভেতর থেকে। ভাষা আন্দোলনের সময় সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। তার কবিতার মধ্যে শোষণ বঞ্চনার কথা আছে। তার প্রতি আমাদের ঋণ অপরিসীম।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এই কবি কবিতার প্রতিরূপের ভেতর দিয়ে মাকে দেখেছেন মেয়ের ভেতর। মেয়েকে দেখেছেন দেশের ভেতর। তার সাহসী উচ্চারণ, বিদ্রোহী শক্তি বহন করার অন্যতম শক্তি ছিল দেশপ্রেম। তার কবিতা বাংলা কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছে।

প্রধান অতিথি আনিসুজ্জামান বলেন, তার কবিতার ভাষা সহজ সরল। তাতে বিষয়বোধ আছে, দুঃখবোধ আছে। একইসাথে হৃদয় হালকা করার বোধও আছে। তার কবিতার রূপান্তর ঘটেছে অনেকবার। এই রূপান্তরের ভেতর দিয়েই তার কবিতায় ইতাহাস, ভূগোল, আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতি, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষা খুঁজে পাওয়া যায়, যা আমাদের ভালো না লেগে পারে না। কাজেই যে কোনো মানদণ্ডে তিনি আমাদের সাহিত্যের একজন বড় কবি।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার বক্তব্যের উপসংহার হিসেবে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি ভালোবাসা চেয়েছিলাম’ কবিতাটি পাঠ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।