মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে নগরভবন গ্রিনপ্লাজায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের সমাপনী দিনে ছিলো গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী, স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, নৃত্য, সংগীত।
সমাপনীতে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ উদযাপনের প্রস্তুতি হিসেবে ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। আগামীতে আবারও ১০ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উদযাপন করা হবে। আর মুজিববর্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সব অপশক্তিকে রুখে দেওয়া সম্ভব।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে লেখক, শিক্ষা ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে রাজনীতির পরম্পরায় সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তার চার সহচরকে হত্যা করা হয়েছে।
সব অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিএনপি এমনটা দল, যারা গণহত্যাকে সমর্থন দিয়েছে। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকা কী ছিলো সেটা সবাই জানেন। দুঃখের বিষয় এদেশে আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দেই। বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করে। রাজশাহীসহ সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধ-প্রতিহত করতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে সব অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
রাজশাহীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি দেশের অনেক অঞ্চল ঘুরেছি। সব শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে রাজশাহীকে। আমি মানুষের কাছে জানতে চেয়েছি এমন পরিচ্ছন্ন শহর কে গড়েছেন? সবাই বলেছেন মেয়র লিটনের কথা।
উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরেক সম্মানিত অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক ও সদস্য সচিব কবি আরিফুল হক কুমার।
সভা শেষে উৎসব চলাকালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
এর আগে সকালে গণহত্যা ও ২৫ মার্চ বিষয়ক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান।
১০ দিনের এ উৎসবে রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিকসহ বিভিন্ন ধরনের সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, বাউল গান, লোকসংগীত, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া, গীতি নৃত্যনাট্য, গম্ভীরা, বারোসিয়া, আলকাপ, পথনাটক, গীতি আলেখ্য, সংযাত্রাসহ নানা মনোমুগ্ধকর আয়োজন ছিলো। গ্রিনপ্লাজা চত্বরে একইসঙ্গে চলমান ছিলো বইমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএস/এএটি