ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

খুলনায় ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র আসর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
খুলনায় ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র আসর খুলনায় আয়োজিত ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র আসরে কথা বলছেন এক কবি। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরে খুলনায় ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’ পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময়ের স্রোতে গা না ভাসিয়ে বিপরীতে দাঁড়িয়ে এক ঝাঁক সৃষ্টিশীল কবি কবিতার অক্ষরে অক্ষরে তুলে ধরেছেন সময়কে।

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৪টায় মহানগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে এ কবিতা আসরের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি অনুপ সানি।

এ সময় তিনি বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’ নামে একটি আন্দোলন শুরু করি। সেই ধারাবাহিকতায় শ্রীমঙ্গলের পর এবার খুলনায় এ আয়োজন করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে তা সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিবৃতি পাঠ করেন কবি হাসান জামিল। আলোচনায় অংশ নেন কবি এহসান হাবীব, হাসান ফকরী ও শামীম আশরাফ লিটু। আসরে উপস্থাপনা করেন কবি রুহুল আমিন ও দোলন প্রভা।

খুলনায় আয়োজিত ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র আসরে কথা বলছেন এক কবি।  ছবি: বাংলানিউজপরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অর্ধশতাধিক কবি দেশের বর্তমান অবস্থা, মানবতা, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন।

কবিতা আবৃত্তি করেন- কবি হাসান ফকরী, চিলু কবীর রঘু অভিজিত রায়, রইস মুকুল, জিয়াবুল ইবন, আশিক আকবর, হাসান জামিল, মাহমুদুল শান্ত, সৌরভ মাহমুদ,  অনুপ সাদি, এহসান হাবীব, জাবেদ ভূঁইয়া, সাঈদ বিলাস, মিজান মজুমদার, ড. ইবাইস আমান, পলিয়ার ওয়াহিদ, রাজলক্ষী, আসমা বেগম, অজয় কুমার রায়, মিলু হাসান, বেনজিন খান,  শামীম আক্তার লিটু, রোমেল রহমান, অনিন্দ্য অবনী, সাইমন স্বপন, রতন মন্ডল, সাজ্জাদ হায়দার নান্নু, জব্বার মুহাম্মদ, মিহির কান্তি মন্ডল, আঁখি সিদ্দিকা, নিয়াজ মোর্শেদ দোলন, প্রশান্ত। তানিয়া সুলতানা।  

এ সময় ক্রসফায়ার, অন্যায়-অত্যাচার, অনিয়ম, দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, হিংসা, রক্তক্ষয়ের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন কবিরা।

কবিরা বলেন, মানুষ যখন কথা বলতে পারে না, কথা ভুলে যান, কবিরা তখন ফুঁসে ওঠেন। কবিতার শব্দ ঝাঁঝালো হয়ে ওঠে। পুলিশ দেখলে স্বস্তি আসার কথা। কিন্তু রাত-দুপুরে নয়, দিবালোকে পুলিশ কড়া নাড়লে আতঙ্ক ফুলে ফেঁপে ওঠে। কবিরাই কবিতায় দেশ থেকে অন্ধকার তাড়ানোর জন্য মশাল জ্বালান। কবিতা মানুষের মাঝে সাহস জোগায়। শাসকের ভীতে নাড়া দেয় কবিতা।

এ সময় কথা বলার মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষাকে শানিত করার আহ্বান জানান কবিরা।  

বাংলাদেশসময়:  ১৭৪৬ ঘণ্টা,  মার্চ ৩০,  ২০১৯
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।