ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জবিতে গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকী’র জন্মবার্ষিকী উদযাপন

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
জবিতে গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকী’র জন্মবার্ষিকী উদযাপন জবিতে গীতিকবি মাশরেকীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকী’র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আমায় এত রাতে ক্যানে ডাক দিলি’, ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে’ সহ কবির বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করা হয়।

আলোচনা সভায় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বাঙালি জাতি অনেক সমৃদ্ধশালী। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখাতে এবং এর চর্চায় বদ্ধপরিকর। সাহিত্যে বাঙালি জাতির যতোগুলো অনুষঙ্গ রয়েছে সবগুলো নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, তবেই আমাদের সাহিত্য আরও সমৃদ্ধশালী হবে।

তিনি আরও বলেন, গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকী’র জীবনী ও কর্মের ওপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী উচ্চতর গবেষণা (এম.ফিল) করতে আগ্রহী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এছাড়া কবি পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিখ্যাত গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকী’র অপ্রকাশিত সাহিত্য কর্ম প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

অনুষ্ঠানে ভারতের কবি সৈয়দ হাসমত জালাল বলেন, আবদুল হাই মাশরেকীকে অনেক ক্ষেত্রে খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়। তিনি ছিলেন সামগ্রকিভাবে বাঙালি জাতির কবি ও সাহিত্যিক। যুগে যুগে সমাজের চরিত্র বদলায়, সেই সঙ্গে সাহিত্যে বাঁক বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর সময়ের বন্ধনে আবদ্ধ না থেকে সৃজনশীলতায় প্রতিফলন ঘটান যিনি তিনিই আধুনিক কবি। মাশরেকীর রচিত গান, কবিতা সময়ের বন্ধনে আবদ্ধ নয়। তার রচিত গান ও কবিতা আজও লোক মুখে প্রচলিত। তিনি শুধু লোক কবিই ছিলেন না, গ্রাম বাংলার জীবনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার কর্ম এখনও মানুষের মাঝে জীবন্ত। তাই তিনি আধুনিক কবি।

এসময় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
কেডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।