মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ঈশ্বরদীর চরগড়গড়িতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়িতে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ওসাকার আয়োজনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর মধ্যে সাহিত্য সাধনায় অবদানের জন্য ৬ জন কবি, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় ৫ মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকে উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করায় ২ তরুণ, শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ২ শিক্ষক, সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ৩ জন, প্রবীণ সম্মাননা ৬ জন, প্রবীণদের জন্য গঠনমূলক কাজ করায় ৩ জনকে সম্মাননা পদক ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সাহিত্য সম্মাননা পদক পেলেন যারা- কবি মাহমুদ কামাল, আসলাম সানী, আখতার জামান, আজাদ এহতেশাম, কথা হাসনাত, হাসান আহম্মেদ চিশতী।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানে সম্মাননা পদক পেলেন যারা- মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু, এমদাদুল হক, আবুল বাশার, ফজলুল হক বুদু, গোলাম মুস্তাফা চান্না।
এছাড়া সমাজসেবায় বিশেষ অবদানে আব্দুল আল কাফী, রমজান আলী প্রাং, তরুণ সমাজকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের নেতৃত্ব দেওয়ায়, কামাল হোসেন, মাসুদ রানা। শিক্ষকতায় বিশেষ অবদানে শহীদুল ইসলাম, গোলাম রসুল, সাংবাদিকতায় এবিএম ফজলুর রহমান, আঁখিনুর রহমান রেমন, খোন্দকার মহবুবুল হক দুদু, প্রবীণ সম্মাননায় কমেলা বেগম, আব্দুল ওয়াহাব, ইমান আলী, আব্দুস সামাদ, রিজিয়া, খানম, আব্দুল মালেক সরকার ও প্রবীণদের জন্য গঠনমূলক কাজ করায় তাদের সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।
এর আগে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা কবি মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে ওয়াকার চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামানের সঞ্চালনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি মাহমুদ কামাল, আসলাম সানী, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিৎ নাগ, সাধারণ সম্পাদক আঁখিনুর ইসলাম রেমন, সংবাদপত্র পরিষদ পাবনার সভাপতি আব্দুল মতিন খান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা বাহাউদ্দীন ফারুকী প্রমুখ।
১৪ এপ্রিল (রোববার) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়িতে শুরু হয়েছিল দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা। তিন দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে শেষ দিন দেশ-বিদেশের কবি লেখক আলোচকদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে সম্মাননা পদক ও পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এসএইচ