বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হয় ‘শিল্পের আলোয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ শিরোনামে ভাস্কর জাহানারা পারভীনের পাথর খোদাই শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।
একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
এসময় মফিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য একদিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। স্বাধীনতা অর্জনের পেছনেও দিনটির গুরুত্ব অনেক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এই অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বেই নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে আমাদের। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী ও আলোচনা শেষে একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে কবি নির্মলেন্দু গুণ তার ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি পাঠ করেন। নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন একাডেমির শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/জেডএস