শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর হাতিপুলের ‘লেখক আড্ডা’য় সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রস্তাবগুলো পেশ করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বাঙালি ১২২ লেখকের রচনাবলী প্রকাশের লক্ষ্যে বাংলা একাডেমিকে জাতীয় বাজেট থেকে পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ করা। এর পরের প্রস্তাব হলো সরকারি অর্থায়নে বইক্রয়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং বইক্রয়ের প্রক্রিয়াটি দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে একটি স্থায়ী ‘লেখক চিকিৎসা তহবিল’ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ভর্তুকিতে ‘লেখক কাগজ’ পুনরায় চালু করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, যেন প্রকাশনায় গতিশীলতা আসে এবং কমমূল্যে পাঠক বই কিনতে পারে। প্রস্তাবের মধ্যে গ্রন্থ প্রকাশনাকে শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। ভারতে বাংলাদেশি বইয়ের বিক্রয়কেন্দ্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং একইভাবে সরকারি উদ্যোগে থানাপর্যায় পর্যন্ত বিক্রয়কেন্দ্র খোলার দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
‘জাতীয় অনুবাদ ইনস্টিটিউশন’ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়, এখান থেকে বাংলাভাষার চিরায়ত ও সাম্প্রতিক বই অনূদিত হতে হবে, পাশাপাশি বিদেশের বই বাংলায় অনূদিত হবে। এছাড়া ‘বাংলা উন্নয়ন বোর্ড’ পুনরায় গঠন করার জন্য প্রস্তাব করা হয়, যেখান থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণাধর্মী বই প্রকাশিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের পাঠাগারসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। দেশজুড়ে শিশু একাডেমির সব শাখায় শিশু-বিনোদন ও মননশীলতার চর্চা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতীয় বাজেটে সব ধরনের গবেষণা-খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও প্রস্তাব করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রকাশনা ও অর্থ সম্পাদক কবি আলমগীর খান, কার্যকরী কমিটির সদস্য কবি ও প্রকাশক আমীরুল বাসার, অনুবাদক শওকত হোসেন, সমাজকর্মী আব্দুল হালিম খান, কবি গাজী রফিক, কবি তুষার প্রসূন, সংগঠক নাজিফা তাসনিম খানম তিশা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
এইচএ/