রক, পপ আর ব্যান্ডের উন্মাদনায় হারিয়ে যাওয়ার পথে আবহমান বাংলার লোকগান।
রাজধানীর বাসিন্দাদের মাটির সুরে সিক্ত করতেই শাহ আব্দুল করিম ও রাধা রমণের গান নিয়ে ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’ শিরোনামের সঙ্গীতাসরের আয়োজন করে রাধা রমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সুরের আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, বিশ্বজিৎ রায়, আবুবকর সিদ্দিক, অনিমা মুক্তি গোমেজ, খায়রুল ইসলাম ও কানিজ খন্দকার নিতু।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘সুরধুনীর কিনারায় সোনার নূপুর’ ও ‘ইতা কিতা করে গো বন্ধে,’ গান দু’টি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন রাধা রমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা।
এরপর একক কণ্ঠে খায়রুল ইসলাম গেয়ে শোনান রাধা রমণের ‘জলে যাইও না গো রাই ও আমারে আসিবার কথা কইয়া’ কানিজ খন্দকার নিতু গেয়ে শোনান শাহ আব্দুল করিমের গান ‘আমার বন্ধুরে কই পাবো সখী গো ও কথা রাখো কাছে থাকো,’ আবুবকর সিদ্দিক গেয়ে শোনান ‘তুমি বিনে আকুল পরান, বন্ধে মায়া লাগাইছে পিরীতি শিখাইছে, গান গাই আমার মনরে বুঝাই ও বসন্ত বাতাসে সই গো,’ লাভলী দেব পরিবেশন করেন রাধা রমণের ‘তুই বড়ো কঠিনরে বন্ধু, শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে, জলের ঘাটে দেইখা আইলাম ও জলে গিয়াছিলাম সই,’ বিশ্বজিৎ রায় গেয়ে শোনান রাধা রমণের ‘আমি ডাকি কাঙালিনী, তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও, গৌর নামের চলছে গাড়ি ও হরি গুণাগুণ কৃষ্ণ গুণাগুণ’ এবং চন্দনা মজুমদার গেয়ে শোনান শাহ আব্দুল করিমের গান ‘এখন ভাবিলে, বসন্ত বাতাসে সই গো, আমি তোমার কলের গাড়ি ও দরদিয়ারে’।
রাধা রমণ ও শাহ আব্দুল করিমের লোক ও দেহতত্ত্বের অমিয় বাণীর সুরের মূর্চ্ছনায় সমগ্র মিলনায়তনজুড়ে যেন মূর্ত হয় মরমী এ দুই সুরের কারিগর।
প্রতিটি পরিবেশনার পর সুরপিয়াসীদের মুহুর্মুহু করতালি সুরের এ আয়োজনে শৈল্পিক করে তোলে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/