কবি আসাদ চৌধুরী আরও বলেন, যেকোনো পরিস্থিতে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের, ভাষা আন্দোলন যারা করেছিল তাদের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ। মানপত্র পাঠ করেন কবি আফরোজা কনা।
কবি আসাদ চৌধুরীকে নিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আসাদ চৌধুরী যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তখন প্রত্যেকের সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল। কারো সাথে ঘনিষ্ঠতা একটু বেশি ছিল, আসাদ চৌধুরী ছিল তাদের মধ্যে একজন। ছাত্রাবস্তায় আসাদ সাহিত্য চর্চা করতেন এবং তা সকলের মনযোগ আকর্ষণ করেছিল। ১৯৬৩ সালে আমরা বাংলা বিভাগ থেকে ভাষা ও সাহিত্য সপ্তাহের আয়োজন করেছিলাম, ছাত্রদের মধ্যে থেকে দু’জন তার সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাদের একজন আসাদ চৌধুরী এবং অন্যজন তার বন্ধু মোসাদ্দেক। এই সাহিত্য সপ্তাহ খুব সফল হয়েছিল। যার পেছনে এই দু’জনের অনেক শ্রম ছিল। আমি তাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি তিনি আরও দীর্ঘদিন আমাদের মাঝে থেকে বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, কবি আসাদ চৌধুরী খাঁটি দেশজ এবং লোকজ মানুষ। যে মানুষের সান্নিধ্য ভালোবাসে। মানুষের সান্নিধ্যে সে জেগে ওঠে এবং মানুষকেও জাগিয়ে তোলে। আসাদ হচ্ছে মানুষ জাগানিয়া। সে তরুণ সমাজকে উদ্দিপ্ত করেছে। সারা বাংলাকে সে উদ্দিপ্ত করেছে। তার কবিতায়ও দেশজ ও লোকজ উপাদান থাকে।
কবি আসাদ চৌধুরী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীত শিল্পি ফরিদা পারভীন লালন সংগীত পরিবেশন করেন।
বেসরকারি সংস্থা পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। পরিচালনা করেন জান্নাতুন নিসা।
প্রিয় কবিকে ৭৫তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন, বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক, লেখক এবং সরকারি-বেসরকারি সংঘটন।
আজাদ প্রোডাক্টসের কর্ণধার কবি আসাদ চৌধুরীকে 'মাই ডেড ইজ ওয়ানডারফুল’ সম্মাননা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
আরকেআর/এসআইএস