বুধবার (৮ মে) ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গাব্দ ১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ব্যক্তির মনন গঠন, ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সর্বোপরি মানবতার এক অনন্য পথিক তিনি। রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় ও দার্শনিক চেতনা ছিল- শুধু নিজের শান্তি বা নিজের আত্মার মুক্তির জন্য ধর্ম নয়। মানুষের কল্যাণের জন্য যে সাধনা তাই ছিল তার ধর্ম। তার দর্শন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শন। মানবতাবাদী এই কবি বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতায়। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কবিতায়, গানে, গল্পে, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সেই দর্শনের অন্বেষণ করেছেন তিনি।
সার্বজনীন এই কবি বাংলাভাষার সাহিত্যকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে। তাইতো নাগরিক মধ্যবিত্ত মননে আজও বাজে কবির অনিন্দ্যসুন্দর সব গান। আনন্দ, বেদনা, কিংবা বিরহ, ভালোবাসা প্রতিটি প্রকাশেই বাংলা ভাষাভাষির প্রাণের আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ। নিজের সময়ে থেকেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধারন করেছিলেন অনাগত কালকে। তাইতো সব সৃষ্টি কর্মই এখনও সমান আবেদন নিয়ে মুগ্ধ করছে শ্রোতাদের।
৮০ বছরের জীবনকালে এই কবি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির এমন কোনো দিক নেই যা নিয়ে তিনি লেখালেখি করেননি। মানবতাবাদী এই কবি বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতায়। রবিঠাকুরই বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪১ সালের ৬ আগস্ট বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শ্রাবণের বাদলঝরা দিনে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জাতীয় পর্যায়ে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এরমধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, নওগাঁর পতিসর ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহের আয়োজন অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/এএটি