সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পর্যায়ক্রমে ৪৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মরণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধন করা।
‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, প্রদীপ প্রজ্বলন, প্রয়াত গুণীজনদের স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন এবং প্রয়াত গুণীজনদের তালিকা ও ছবি প্রদর্শন হয়।
৪৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে অমর সুরস্রষ্টা শচীন দেব র্বমণের সৃষ্টিকর্ম বিষয়ে আলোচনা, ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
২৫ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে পর্যায়ক্রমে শিল্পীদের স্মরণে অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের করা হবে।
আলোচনা সভা শেষে ‘ছন্দে বর্ণে’ ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’ ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক’ গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।
এরপর ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নেই’ ‘নিশীথে যাইয়ো ফুলো বনে’ ‘তুমি এসেছিলে পরশু’ ‘তুমি গিয়াছো বকুল বিছানো পথে’ ‘পিয়া বিনা বাঁশিয়া বাজেনা’ গান গাওয়া হয়। এছাড়াও শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
মুনীর চৌধুরী রচিত ড. আইরীন পারভীন লোপা নির্দেশিত আবদুল্লাহ আল মামুন থিয়েটার স্কুলের পরিবেশনায় কবর নাটকের অংশ বিশেষ দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভের চেয়ারম্যান, সঙ্গীতজ্ঞ অধ্যাপক ড. আ ব ম নূরুল আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী জামাল আহমেদ, নাট্য সমালোচক ও অনুবাদক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, সঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, আলোকচিত্রী পাভেল রহমান, একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আরকেআর/এনটি