শুক্রবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয়েছে দু’দিনের রবীন্দ্র উৎসব। এই উৎসবের বাতাসে ভাসলো সুরের উৎসার।
সন্ধ্যায় ‘বাজাও তুমি কবি, তোমার সঙ্গীত সুমধুর/গম্ভীরতর তানে প্রাণে মম--/ দ্রব জীবন ঝরিবে ঝর ঝর নির্ঝর তব পায়ে। ’ গানের মধ্য দিয়ে দু'দিনব্যাপী রবীন্দ্র উৎসবের প্রথম লগ্নে ভালোবাসা উঠে এলো ছায়ানট মিলনায়তনে সম্মেলক কণ্ঠে। ছায়ানটের শিল্পীরা যখন শেষ করলেন এ গানের অমিয় বাণী, তখন স্বাগত কথনে সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন ছায়ানটের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসনাত।
স্বাগত কথনে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস ২২শে শ্রাবণ এলেই এ সংকটের দিনে প্রত্যয়দীপ্ত সংস্কৃতি আন্দোলেনর দিনগুলো উজ্জ্বলতা নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়। এখনো জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণতা নিয়ে তার প্রবন্ধ, চিঠিপত্র নতুন পথ দেখাতে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়। বিশ্বশান্তি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন, তা তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে। জাতীয়তাবাদ, ধর্মের ক্ষুদ্র গণ্ডির বাইরে তিনি মানবিকতা ও বিশ্ব সংস্কৃতির অভিপ্রায় নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেছিলেন। তার সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা আমাদের সমাজের নানা দিককে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আসন্ন প্রয়ান দিবসে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
এরপর ছায়ানটের বিশেষ পরিবেশনা গীতিনৃত্যালেখ্য 'অনন্ত আনন্দধারায়' পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন অভয়া দত্ত, তাহমিদ ওয়াসিফ, ফারজানা আক্তার পপি, পার্থ প্রতীম রায়, সেজুতি বড়ুয়া, সেমন্তী মঞ্জুরি।
আবৃত্তি ও একক পাঠ করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ। একক গান পরিবেশন করেন সালমা আকবার, অভিক দেব, উর্মী রায় ঝর্ণা, মহিউজ্জামান চৌধুরী, কাঞ্চন মোস্তফা, স্বাতী বিশ্বাসসহ আরো অনেকে। তারা এসময় পরিবেশন করে 'এমন দিনে তারে বলা যায়', 'রিমিক ঝিমিক ঝরে', 'আজি শ্রাবণ ঘন গহন মোহে', 'আজি ঝড়ের রাতে'সহ বিভিন্ন গান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এএ