বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ফখরুল আলমকে নিয়ে এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
শনিবার (২০ জুলাই) বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক ও অধ্যাপক ফখরুল আলম পদার্পণ করেন ৬৯ তম জন্মবার্ষিকীতে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ ও ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দায় মোচন’ কবিতাটি পাঠ করেন বাচিক শিল্পী ডালিয়া দাস।
নৃত্য আর কবিতার পর শিল্পী অভয়া দত্ত পরিবেশন করেন ‘তেমায় গান শুনাবো’। পাপিয়া সরোয়ার পরিবেশন করেন ‘হৃদয় বাসনা পূর্ণ হলো’, বিকাশ গর্গ পরিবেশন করেন ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’, প্রমিলা মুক্তি পরিবেশন করেন আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গানটি।
এছাড়া অন্যান্য শিল্পীরাও পরিবেশন করেন বিভিন্ন রবীন্দ্রসঙ্গীত। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বিধান চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষ্টি হেফাজ।
অনুষ্ঠানের শেষপ্রান্তে ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’ এবং ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য।
এরপর মঞ্চে আসেন অধ্যাপক ফখরুল আলম। যিনি রবীন্দ্রনাথ এক জায়গায় স্থির রাখেননি, বরং এগিয়ে নিয়েছেন ক্রমশ।
জন্মদিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে ফখরুল আলম বলেন, আমার পরিবারেই রবীন্দ্রসঙ্গীত ছিল। বাবা অনেকটা জোর করেই সে গান শোনাতেন। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের ভাই বোনদের গান শিখিয়েছেন। সেখান থেকেই রবীন্দ্রনাথ এই যে ধরে বসলো, আর ছাড়ছে না। আগামীতে মনের ভেতর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আরও বড় যে কাজ করার ইচ্ছে আছে, তা যেন সম্পন্ন করতে পারি এই প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এইচএমএস/আরআইএস/