সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে শান্তির অন্বেষায় চলচ্চিত্র নিয়ে ‘উদ্যোগে ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপ্তির এযুগেও মানবিকতার বিকাশ ঘটাতে ও সমাজকে শান্তির পথে এগিয়ে নিতে চলচ্চিত্রের বিকল্প নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রটিয়ে দেওয়া পদ্মাসেতুতে বলিদানের গুজব আর সেই থেকে ছেলেধরা আতঙ্ক এবং অসহিষ্ণু মানুষের গণপিটুনিতে নির্দোষ প্রাণের মৃত্যু- এসব রুখতে প্রয়োজন সহিষ্ণুতা আর শান্তির পক্ষে সচেতনতা, বলেন ড. হাছান।
মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে তথ্যপ্রবাহের ক্যানভাস আমূল বদলে গেছে। আগে মানুষ তার মতামত-অভিযোগ জানাতে পত্রিকার আশ্রয় নিতে হতো, আর এখন কেউ চাইলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষের কাছে তার কথা পৌঁছাতে পারে। মানবিকতাবোধ আর শান্তি রক্ষার শপথে বলীয়ান থাকলেই কেবল অশান্তি-হানাহানি এড়ানো সম্ভব।
সংগঠনের পরিচালক রোকেয়া প্রাচীর সভাপতিত্বে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম, অধ্যাপক সি আর আবরার, চলচ্চিত্র নির্মাতা কাওসার আহমেদ চৌধুরী এবং সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকী অনুষ্ঠানে শান্তির পক্ষে চলচ্চিত্রের ভূমিকা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
পিআর/জেডএস