শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘জাগো অমৃত পিয়াসি চিত’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন। কবির ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এভাবেই কবিকে স্মরণ করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম জাগতিক সব বিষয়ের বাইরে ইসলামী দর্শন ও তার ভেতরের সত্ত্বাকে নাড়া দিয়েছিল দারুণভাবে। বাঙালির আত্ম-পরিচয়ের মূলে নজরুলের অসামান্য সৃষ্টিকর্ম। এ আয়োজনের গানে ও কবিতায় সেই বিষয়গুলোকেই তুলে ধরে ছায়ানট।
সম্মেলক, একক গান ও কবিতা দিয়ে সাজানো ছিল পুরো আয়োজন। এতে গানের সুরে ও কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে জাতীয় কবিকেই মূর্ত করে তুলেছিলেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে সম্মেলক কণ্ঠে আরও পরিবেশন করা হয় ‘এসেছি তব দ্বারে, বেদনার সিন্ধু মন্থন শেষ’, ‘নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে’, ইত্যাদি গানগুলো। এরপর নজরুলের একক গান পরিবেশন করেন মৌমিতা সরকার মুমু। তিনি গেয়ে শোনান ‘হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে’। একক কণ্ঠে শুক্লা পাল সেতুর কণ্ঠে গীত হয় ‘বল রে জবা বল’, কানিজ হুসনা আহম্মাদী গেয়ে শোনান ‘কোন কাননের ফুল গো তুমি’, অর্পিতা চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘ওগো অন্তর্যামী ভক্তের তব’, অভিজিৎ কুণ্ডুর কন্ঠে গীত হয় ‘মোর প্রথম মনের মুকুল’, তমা সরকর গেয়ে শোনান ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে’।
পপি আক্তার পরিবেশন করেন ‘পরাণ-প্রিয় কেন এলে অবেলায়’, সুস্মিতা দেবনাথ শুচির কন্ঠে গীত হয় ‘মনে পড়ে আজ’, শেখর মণ্ডল শোনান ‘মেঘে মেঘে অন্ধ অসীম’, সুদীপ্ত শুভ পরিবেশন করেন ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল’, সুস্মিতা দাস শোনান ‘তোমার বীণার মূর্ছনাতে’।
এছাড়াও আসরে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন জাহিদ রেজা নূর ও কৃষ্টি হেফাজ। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/