বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের শিশু-কিশোররা অংশ নেয়।
এদিন জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ড. তাপস পালের রচনা, হেলাল মিয়ার নির্দেশনায় গাজীপুরে’র নাটক 'দুখুরামের অরূপ কথা' এবং নুরুজ্জামানের নাট্যরূপ ও সাব্বির ইসলাম শেফা’র নির্দেশনায় 'আজব দেশের গল্প' মঞ্চায়ন করা হয়।
অন্যদিকে সুমিত মোহন্তের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় রংপুর শিশু নাট্যকেন্দ্রে’র নাটক 'মাইডাসের স্বপ্ন স্বর্ণ', উনাইসা তিজান খানের রচনা ও আক্তার হোসেনের নির্দেশনায় 'চাঁদের দেশে' ও জাকির হোসেনের রচনা ও নির্দেশনায় গাজীপুরের নাটক 'ডেথ অফ ড্রিম' মঞ্চস্থ হয়।
জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয় রতন দত্তের রচনা ও নির্দেশনায় টাঙ্গাইলের নাটক 'কচি পাতার কান্না', আবু হানিফ মাসুমের রচনা ও নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জের 'চাঁদের আলো'। এছাড়া এ হলে পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, একক অভিনয় ও ৭ই মার্চের ভাষণ।
জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়- আনন জামানের রচনায়, শাকিল আহমেদের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নাট্যদলের 'বিলয় গাঁথা', আব্দুর রহিম রচিত, রিজওয়ান চৌধুরী প্রিন্স নির্দেশিত পঞ্চগড়ে’র নাটক 'কে উত্তম?’, নূর হোসেন রানার রচনা ও নির্দেশনায় 'বটতলার ফেলুমামা', এটিএম মাহমুদুল আক্তারের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় পঞ্চগড়ের শিশু নাট্যদলের 'রুমাল' এবং ফয়সাল আহমেদের রচনা ও নির্দেশনায় ঢাকার নাটক 'লোভী'।
এছাড়াও জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে একক সঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এদিকে জাতীয় চিত্রশালার চিত্রকলা স্টুডিওতে প্রতিদিনের মতো আজও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের চিত্রাংকন ও জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গিত পুষ্পকানন নির্মাণ করা হয়। একই সঙ্গে এদিন বিকেল ৪টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শিশুদের অংশগ্রহণে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও মঞ্চকুঁড়ি পদক প্রদান করা হয়।
এছাড়া সব শেষে আর সব দিনের মতো রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
আরকেআর/এইচজে