বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ১৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হয় এ কর্মশালা। এসময় প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ করা হয়।
চার দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ছৌ নৃত্যশিল্পী মধুমিতা পাল। তিনি ভারত সরকারের ফেলোশিপপ্রাপ্ত ও ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী।
যুদ্ধের সময় ছাদের নিচে অস্ত্র চালনার চর্চা থেকেই এই ছৌ নৃত্যের উদ্ভব বলে জানান মধুমিতা পাল। তিনি জানান, এই নৃত্যের মাধ্যমে সাধারণত পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় ও সামাজিক পালা করা হয়। এর সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ঢোল, নাকাড়া, সানাই, বাঁশি ও ঝাঁঝর ব্যবহার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষে পুরুলিয়া, উড়িষ্যার ময়ূর ভঞ্জ ও ঝাড়খণ্ড সেরাইকেলা নামে তিন ধরনের ছৌ নৃত্য বিদ্যমান। পুরুলিয়ার ছৌতে বড় মুখোশ, সেরাইকেলাতে পুতুলের মতো ছোট মুখোশ এবং ময়ূরভঞ্জে মুখে প্রসাধনী বা রূপসজ্জা ব্যবহার করা হয়।
চার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ছৌ নৃত্যের প্রথমিক ধাপ পশুপাখির চালচলন ও অঙ্গভঙ্গি শেখানো হয়েছে। এছাড়াও ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা’ ও ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ’ গান দু’টির সঙ্গে কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এইচএমএস/এএ