মনে এমন আবেশ মাখা চিত্রশিল্প নিয়েই রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে শুরু হয়েছে চিত্রশিল্পী ইসমাইল চৌধুরীর একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ও বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
প্রদর্শনী সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রদর্শনীর শৈল্পিক অর্থের ব্যাপকতা মুগ্ধ করেছে আমাকে। প্রকৃতির কথা ছবিগুলোতে এমনভাবে শিল্পী তুলে ধরেছেন মনে হচ্ছে যেন ছবি কথা বলছে, বুকের ভেতরে স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে রঙের ব্যবহার প্রতিটি ছবিতে অত্যন্ত চমৎকারভাবে করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রধান অ্যাটাশে মাচিকো ইয়ামামুরা ও বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী। আলোচনা করেন শিল্প সমালোচক ও লেখক অধ্যাপক মঈনুদ্দিন খালেদ।
আলোচক অধ্যাপক মঈনুদ্দিন খালেদ বলেন, প্রকৃতির মুগ্ধতার সঙ্গে আণুবীক্ষণিক পর্যালোচনার নিখুঁত সম্পর্ক তুলে ধরেছেন শিল্পী তার শিল্পকর্মে। তার ছবিতে আছে হিলিস্ক্যাপ, আছে কোষ বিভাজন; যেগুলো আমরা সচারাচর দেখি না। তার ছবির ভাষা পড়তে সময় লাগে, গাম্ভীর্যটা আছে তার কর্মে। এক অন্যরকম সুখের পরশ আছে শিল্পীর ছবিগুলোতে।
মাচিকো ইয়ামামুরা বলেন, ইসমাইল চৌধুরী নিপুণ দক্ষটার সঙ্গে প্রকৃতিকে তুলে ধরেছেন। তার এই অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য অনেক শুভকামনা ও অভিনন্দন।
কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, শিল্পী তার ক্যানভাসে প্রকৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটা ছবি কথা বলে। ছবির ভাষা যখন সবাই বুঝতে পারে তখনই শিল্পীর সার্থকতা আসে। আমি লক্ষ্য করেছি, প্রাচ্যের আবহাওয়া পুরোপুরিভাবে শিল্পী তার চিত্রকর্মে ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘররের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এমআইএইচ/এএ