সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবিদের সংগঠন ‘কাব্য কলা’।
অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।
শাহেদ রহমানের যে তিন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেগুলো হলো- ‘আছে রোদ আছে জলের জ্যোৎস্না’, ‘রূপকথা ভালো নেই’ এবং ‘বৃষ্টির সিম্ফনি’। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, কবিতার যে আবেগ, অনুভূতি তা উপলব্ধি করার যোগ্যতা আমার নেই। যার ফলে শাহেদ রহমানের কবিতা নিয়ে কিছু বলার অধিকার নেই। শুধু এটুকু বলবো, তিনি প্রাজ্ঞ মানুষ। তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও পাণ্ডিত্যকে শ্রদ্ধা করি।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, শাহেদ রহমান কবিতার প্রতি সমর্পিত মানুষ। তার কবিতায় প্রেম, প্রকৃতি, স্বদেশসহ বিভিন্ন বিষয় চিত্রায়িত। সেখানে আছে দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বোধ। বলা যায়, তার কবিতা চিত্ররূপময়।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলাদের অধিকাংশ মানুষ তাদের রক্তে কবিতা ধারণ করে। যেভাবে তারা হাওয়া-মাটি-জল নিজের ভেতর ধারণ করে, কবিতাকে তারা সেভাবে গ্রহণ করে। কবিতার মাধ্যমেই আমরা ‘জয় বাংলা’ ধারণ করেছি। জয় বাংলা বলেই আমরা এক হয়েছি। দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, কবি নাসির আহমেদ ও সাংবাদিক আতাহার খান। অনুভূতি প্রকাশ করেন শাহেদ রহমান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শাহেদ রহমানের কবিতা আবৃত্তি করেন অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, ডালিয়া আহমেদ, ড. শাহদাৎ হোসেন নিপু, মাহিদুল ইসলাম মাহি, পারভেজ চৌধুরী, নাজমুল আহসানসহ অন্য আবৃত্তি শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/