রোববার (০৩ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪২তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফরহাদ খানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
ফরহাদ খানের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আমলা গ্রামে। তিনি আমলা-সদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমলা-সদরপুর এইচ-ই স্কুল, মেহেরপুর কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দিয়ে ২০০২ সালে বাংলা একাডেমির ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে অবসর নেন।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ডেপুটেশনে বাংলা বিভাগের একজন সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন জার্মানির কোলন শহর ডয়েচে ভেলে রেডিও-তে।
ফরহাদ খানের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- প্রতীচ্য পুরাণ, শব্দের চালচিত্র, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনি, বাঙালির বিবিধ বিলাস, নীল বিদ্রোহ (যৌথ অনুবাদ), ব্যারন মুনশাউজেনের রোমাঞ্চকর অভিযান, গল্প শুধু গল্প নয় (শিশুতোষ গল্প) ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ তিনটি বইয়ের সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
একজন বেতার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও ফরহাদ খান সুপরিচিত। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বেতারে সংবাদ অনুবাদ ও পাঠ করেছেন। ১৯৮৬ পর্যন্ত ঢাকা বেতারের ‘উত্তরণ’ ও ‘সংবাদ বিচিত্রা’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি মাতৃভাষা নিয়ে ‘মোদের গরব মোদের আশা’, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ‘আহমান বাংলা’ এবং ‘মাতৃভাষা’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি/