তিনি লিখেছেন ‘প্রতিবাস্তব কবিতা’। আর এসব কবিতা নিয়ে সম্প্রতি অগ্রদূত অ্যান্ড কোম্পানি থেকে বেরিয়েছে তার সর্বশেষ বই ‘একালে কাকতলাতে বেল’।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকায় এর ঘটা করে মোড়ক উন্মোচনও হয়ে গেলো। কবিতা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ভাষাসৈনিক, রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য আহমদ রফিক।
কেন এই প্রতিবাস্তব কবিতা- জানতে চাইলে কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, জীবনকে নতুন চোখ দিয়ে দেখার চেষ্টা। বাংলা কবিতায় খানিকটা নতুনত্ব যোগ করার প্রয়াস। যেমন, এক কবিতায় আমি বলেছি, ‘সমুদ্র-পাশে যে প্রবীণ অরণ্য, সেখানে ধীরপ্রবণ/জল-কাদাদের হাঁটাহাঁটি মৃতপ্রায় সরীসৃপ-দেহে’। সরীসৃপের হাঁটাহাঁটি কাদার ভেতর না বলে আমি বলেছি কাদাদের হাঁটাহাঁটি মৃতপ্রায় সরীসৃপের দেহে। এই যে উল্টো করে বলা, এর মধ্য দিয়েও কিন্তু অরণ্যের ভেতরে প্রবহমান নদী শুকিয়ে খরা হয়ে যাওয়ার বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে।
এমন বেশ কিছু কবিতাসহ ৫০টি কবিতা স্থান হয়েছে ৮০ পৃষ্ঠার এই ‘একালে কাকতলাতে বেল’ গ্রন্থে। বইটির নান্দনিক প্রচ্ছদ এঁকেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। রকমারি ডটকম, এনআরবিবাজার ডটকম ছাড়াও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে এখন বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
এরই মধ্যে বইটি বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। কেননা, ১৩ থেকে ১৯ অক্টোবর- সাত দিনব্যাপী বাতিঘরে আয়োজিত কাজী জহিরুল ইসলামের একক বইয়ের মেলাতে প্রতিদিনই বইটির স্টক শেষ হয়ে যায় এবং প্রকাশককে নতুন স্টক সরবরাহ করতে হয়।
বাতিঘরের সঙ্গে যৌথভাবে এই একক বইমেলা আয়োজন করে স্কলারস পাবলিশার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
টিএ