সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য স্থপতি রবিউল হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান এবং শিল্পসমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ।
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ শুরু করেছিলেন পেইন্টিং দিয়ে, কিন্তু ভাস্কর্য দিয়েই তার পরিচয়। ‘অপরাজেয় বাংলা’ মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ, মহৎ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার ভাস্কর্যে। শামসুজ্জামান খান বলেন, ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ ‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যটি খুবই চমৎকারভাবে, অত্যন্ত নান্দনিকতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিকামী মানুষকে নিয়ে এই শিল্পকর্ম। শিল্পের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল প্রখর।
হামিদুজ্জামান খান বলেন, খালিদ ছিলেন আমার সহপাঠী। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং দেশের প্রতি ছিল তার অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি এই বাংলার মহান স্থাপত্যশিল্পী। তার হাতেই তৈরি সার্থক ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’। অপরাজেয় বাংলা মানে বাঙালির শক্তি। তিনি শুধু ভাস্করই ছিলেন না, অনেক পেইন্টিংও করেছেন তিনি। তার কাজই তাকে অমর করে রেখেছে।
মঈনুদ্দিন খালেদ বলেন, ভাস্কর্যচর্চাটা খুবই বিচিত্র রকম কাজ। জনতার সামগ্রিক শক্তি প্রকাশ করার মাধ্যম ভাস্কর্য। ‘অপরাজেয় বাংলা’ কথাটা অনেক আবেগের, অনেক প্রেরণার উৎস। বাঙালির সাহসকে ভাস্কর্যমণ্ডিত করা সহজ কাজ নয়। সেই কঠিন কাজটিই করে গেছেন তিনি। তার ভাস্কর্যের মাধ্যমে তিনি বাংলার বিজয়ীশিল্পী।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের শিল্পকর্ম ও স্মৃতিনিদর্শন নিয়ে বিশেষ এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/