ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পভাষ্যে শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য জীবন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
শিল্পভাষ্যে শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য জীবন প্রদর্শনীতে রয়েছে শেখ হাসিনার ২৩১টি আলোকচিত্র। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। শিক্ষাকে সবার দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখছেন তিনি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন অবিচল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই চলছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও অগ্রযাত্রা। ছবিগুলো যেন সে কথাই বলছে অবিরাম।

‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ শীর্ষক প্রদর্শনীকে এভাবেই মূল্যায়ন করেছেন বরেণ্যজনেরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি ঘুরেও দেখা যায় তেমনই দৃশ্য।

এ প্রদর্শনী যেন প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের শিল্পভাষ্যের উন্মোচন।

প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলোতে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমত্ববোধ, শিল্প চেতনা, দূরদর্শিতাসহ ব্যক্তিজীবনের নানা চিত্র, নানা সময়। জীবনসংগ্রাম থেকে রাজপথ, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলা, বাবার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয়। আছে রান্নার চিত্র, জেলখানায় বসে লেখার চিত্র, সাধারণ একজন নারীর মতো আবেগী মনে সমুদ্রের পানিতে পা ভেজানোর চিত্র, শিল্পবোধ এবং ছোট্ট সোনামনির চুলের বেণী করার দৃশ্য। এককথায়, ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’ বাক্যটি যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে পুরো গ্যালারিজুড়ে। আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য জীবন উপস্থাপনের চেষ্টা।  ছবি: জিএম মুজিবুরগ্যালারি ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান সোহান বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রদর্শনী সত্যিই অনন্য। এখানে এসে প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে জানতে পারলাম, তার কাজ, পথচলা, ব্যক্তিজীবন, সেগুলো আগে কখনো এভাবে জানা সম্ভব হয়নি। একটি মানুষের জীবন যে কত বিচিত্রতার মধ্য দিয়ে যেতে পারে এবং সবকিছু হারিয়েও যে ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেলে সফল হওয়া যায়, তার বড় প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী। আর তা আরও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারলাম এ প্রদর্শনী ঘুরে।

গ্যালারির প্রবেশমুখে রয়েছে শেখ হাসিনার বিভিন্ন মঞ্চে বা সভায় বক্তব্যরত প্রায় অর্ধশত বড় আকারের ছবি। ভেতরে গেলেই চোখে পড়বে ১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তার বিজয়স্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দৃশ্য। পাশেই রয়েছে ১৯৯৬ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতার ছবি, ১৯৯৬ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান অতিথির ভাষণ দেওয়ার দৃশ্য, ১৯৯৬ সালের ৪ মে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ১৯৯৬ সালের ১৮ এপ্রিল বক্তৃতা, রমনা বটমূলে বক্তৃতা, ফিতা কেটে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশবীণা উদ্বোধনসহ অসংখ্য সভা-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য ও সংগ্রামী জীবনের আলোকচিত্র এবং তাকে নিয়ে সৃজিত শিল্পকর্মের প্রদর্শনী। রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রান্না করার চিত্র।  ছবি: জিএম মুজিবুরইডেন কলেজের শিক্ষার্থী ইসরাত সুলতানা সাদিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, রান্না করার চিত্র, জেলখানার চিত্র, পরিবারের সঙ্গে, শিশুদের সঙ্গে কত সুন্দর সম্পর্ক তা তো টিভি বা পত্রিকার পাতায় পড়েছি, দেখেছি; কিন্তু, এখানকার শিল্পকর্মগুলোতে যখন সেই দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তখন সত্যিই সেগুলো যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। এ আয়োজন সত্যিই অনন্য। সত্যি বলতে, একজন সাধারণ মানুষের জীবন হিসেবে দেখলেও এই প্রদর্শনী আমাদের সবারই দেখা আবশ্যক।

শিল্পকলা একাডেমির এ প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রীর শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত নানা সময়ের ২৩১টি আলোকচিত্রের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে ১৩৩টি চিত্রকর্ম, চারটি স্থাপনাশিল্প ও পাঁটি ভিডিও ইনস্টলেশন। ঠিক যেন আলোকচিত্র ও শিল্পকর্মগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে শিল্পের একক আবহে উপস্থাপনের চেষ্টা। রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রান্না করার চিত্র।  ছবি: জিএম মুজিবুরচিত্রকর্মের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশিত নানা বইয়ের প্রদর্শনীও রয়েছে গ্যালারির সঙ্গেই। রয়েছে ৪৩ ফুটের এক চিত্রকর্মও। জাতীয় চিত্রশালার এক ও ছয় নম্বর গ্যালারিতে এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী, শুক্রবার চলবে বিকাল ৩টা থেকে ৮টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এইচএমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।