ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় ও শেষ দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘সাহিত্য ও সাংবাদিকতা: দ্বৈতসত্তার মিল-অমিল’ শীর্ষক আলোচনায় এমনটিই বলেন পশ্চিমবঙ্গের কবি ও সাংবাদিক মৃদুল দাশগুপ্ত।
আলোচনায় আরও অংশ নেন কবি ও সাংবাদিক সাজ্জাদ শরীফ এবং কবি ও সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি।
আলোচনায় মৃদুল দাশগুপ্ত বলেন, আমি কবিতা এবং সাংবাদিকতাকে একসঙ্গে দেখি না। দু’টো আলাদা আলাদা বিষয়। সাংবাদিকতা কাঠখোট্টা টাইপের একটা জিনিস। আর কবিতা মনের আবেগের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা। সেই জায়গা থেকে আমি বুক ও মাথা দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি।
মুস্তাফিজ শফি বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় থেকে সাহিত্যে সময় দেওয়া কষ্টকর। কাজের চাপ সবসময়ই থাকে। সেখান থেকে একটু সময় বের করে সাহিত্যে দিলে পরিবার-পরিজনকে আর সময় দেওয়া হয় না। তাই সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে, দু’টোর জন্য সময় এবং মানসিকতার আলাদা আলাদা সমন্বয় করাটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা যখন পরিপূর্ণভাবে হয় না, তখনই সাহিত্যের ক্ষতি হয়।
স্বপ্ন এবং কল্পনার বড় অংশ সাংবাদিকতায় দেওয়ার কারণে কবিতা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সাজ্জাদ শরীফ। তিনি বলেন, স্বপ্ন এবং কল্পনার বড় অংশ সাংবাদিকতায় দিয়েছি। ফলে কবিতা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেননা, সাংবাদিকতা ও কবিতার শব্দ আলাদা। আর আলাদা আলাদা শব্দকে দু’বার গ্রহণ করাটা বেশ কঠিন। তবে কবিতা লেখার প্রক্রিয়া একেক জনের কাছে একেক রকম হওয়ায় এটা অনেকটা ব্যক্তির ওপরও নির্ভর করে।
কবিতা ও সাংবাদিকতার ভেতর বিভেদ থাকলেও বিস্তৃত এই পথ সমন্বয় করেই কবিতা এবং সাংবাদিকতা নিজেদের পথে আরও এগিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সঞ্চালক ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি/