ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

এখনও সমান জনপ্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এখনও সমান জনপ্রিয় হুমায়ূন আহমেদ

ঢাকা: আচ্ছা, আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের নাম কী? এর উত্তরে চটজলদি শুধু আপনার নয়, সবার জবাব হবে একই। আর সেটি হলো- হুমায়ূন আহমেদ।

ছোট আর সরল বাক্যে মধ্যবিত্তদের জীবনগাঁথার হৃদয়স্পর্শী কাহিনি দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের হৃদয়। বুধবার (১৩ নভেম্বর) হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন।

সাত বছর আগে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর অর্ধযুগ পেরিয়ে গেছে ঠিক, কিন্তু এখনও বাংলাদেশের সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদই। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এখনও বিক্রির শীর্ষে তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বিক্রির শীর্ষ তালিকাতেই নাম থাকে হুমায়ূন আহমেদের। তার পুরনো বইগুলো এখনও বিক্রি হয় আগের মতোই।

হুমায়ূন আহমেদের জীবদ্দশায় মোট ১৫টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে তার বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো- অনন্যা, অন্যপ্রকাশ, অনুপম, অন্বেষা, অবসর, আফসার ব্রাদার্স, কাকলী, জ্ঞানকোষ, প্রতীক, সুবর্ণ, পার্ল পাবলিকেশন্স, মাওলা ব্রাদার্স, শিখা প্রকাশনী, সময় ও সাগর পাবলিশার্স। তার মৃত্যুর পর তার বইয়ের বেশ কিছু সংকলন প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি।

প্রকাশকরা জানান, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের রয়্যালটি মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬২ এবং মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী, তার উত্তরাধিকারীদের দেওয়া হয়।

আইন অনুযায়ী, হুমায়ূনের বইয়ের রয়্যালটি ও অন্যান্য সম্পত্তির মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের মা সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ ও স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন আট ভাগের এক ভাগের মালিক হবেন। বাকি সম্পদ এক পুত্র সমান দু’কন্যা হিসেবে ভাগ হবে নয় ভাগে। নয় ভাগের তিন ভাগ পাবেন তিন মেয়ে- নোভা, শীলা ও বিপাশা আহমেদ। বাকি ছয় ভাগ পাবেন তিন ছেলে- নুহাশ, নিষাদ ও নিনিত হুমায়ূন। তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার কারণে তিনি হুমায়ূন আহমেদের উত্তরাধিকার নন।

এ বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের সর্বাধিক বইয়ের প্রকাশক ‘অন্যপ্রকাশ’র প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশকরা আইন অনুযায়ী প্রতি বছরে যার যার সুবিধামতো সময়ে রয়্যালটির চেক পাঠিয়ে দেন। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ মারা যাওয়ার পর তার অংশের রয়্যালটি তার দুই ভাই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব এবং দুই বোন সুফিয়া হায়দার ও মমতাজ আহমেদের মাঝে একই আইন অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়।

এ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কোনো ক্ষোভ নেই বলেও জানান তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীব বাংলানিউজকে বলেন, মায়ের অংশের রয়্যালটির টাকা ব্যাংকেই জমা রয়েছে। এতে আমরা হাত দেইনি। মেজো ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই টাকা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের নামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ডিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।