মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই-এর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা ভাষা সংস্কারের জন্য আবদুল হাইয়ের যে লেখা তা পরীক্ষামূলক। যদিও তিনি শিক্ষক ছিলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের। কিন্তু দায়িত্ব পালন করেছেন আরও বেশি। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর যা আক্রমণ এসেছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। আবদুল হাই আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার রচনা পড়ে আলো নিয়ে সামনের দিকে পথ চলার আহ্বান জানাচ্ছি সবাইকে।
অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার বলেন, আবদুল হাই বাংলা ধ্বনিকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেন। বাংলা ভাষার প্রথম ধ্বনিবিজ্ঞানী তিনি। ব্যক্তিজীবনে ধর্মপরায়ণ পরিবারের সদস্য। কর্মজীবনে ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। ভাষাকে তিনি ধর্মপরিচয়ের ঊর্ধ্বে রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন। ভাষাতাত্ত্বিক হিসেবে তিনি বাংলা ভাষা নিয়ে ছিলেন দৃঢ়চিত্ত।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল হাই বাংলা সাহিত্য এবং বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য পুরুষ। ঊষর সময়কালে, বিরূপ রাজনৈতিক অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাঙালি চেতনার অন্যতম বাতিঘর হয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। তার মূল পরিচিতি ভাষা বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও তিনি সামগ্রিকভাবে বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ