শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে চন্দ্রাবতী একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ‘চন্দ্রাবতী আন্তর্জাতিক বাংলা শিশুসাহিত্য উৎসব-২০১৯’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কলকাতার বিশিষ্ট লেখক পবিত্র সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলা শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক কায়জার চৌধুরী এবং ফরিদুর রেজা সাগর চৌধুরীর হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, চন্দ্রাবতী আন্তর্জাতিক বাংলা শিশুসাহিত্য উৎসবের মাধ্যমে আমাদের ছোটবেলার হারিয়ে যাওয়া গল্প, ছড়া, কবিতাকে সুন্দরভাবে ধরে রাখতে পারবো। আমাদের এ সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী সাহিত্য সম্ভারকে বিদেশি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছি না, আমাদের দারিদ্র্যসীমা গত ১০ বছরে অর্ধেকেরও বেশি নিচে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মননশীলতার উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের সমাজে মননশীলতার যথেষ্ট ঘাটতি আছে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনে মননশীলতার উৎকর্ষতা অতীব প্রয়োজন।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমাদের শিশুসাহিত্যের একটা গৌরবময় ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে বর্তমানে যা রচিত হচ্ছে, তা অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
এই সমৃদ্ধ সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানও।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএ/