শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে চন্দ্রাবতী একাডেমির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা ছাড়া আমাদের সব অনুভূতি শূন্য। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া কল্পনা করা যায় না। আমাদের অভিভাবকদের আহ্বান জানাবো, তারা যেন আমাদের সন্তানদের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দেন। শিল্পী হাশেম খান বলেন, স্বাধীন দেশে শিশুদের চিত্রকলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিশুরা তাদের আনন্দ, অনুভূতিকে রং তুলি দিয়ে প্রকাশ করে। আমাদের অভিভাবকদের উচিত তাদের জোর করে কিছু না আঁকানো। তারা তাদের মনের ইচ্ছে মতো স্বাধীনভাবে আঁকতে পারলেই তাদের চিন্তার বিকাশ ঘটবে। একই সঙ্গে গান গাওয়া, বই পাঠসহ অন্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তাদের এগিয়ে নিতে হবে।
লেখক আমীরুল ইসলাম বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে শিশুসাহিত্য বর্তমানে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। শিশুসাহিত্যের জায়গা ছোট থেকে অনেক বড় হয়েছে এবং ক্রমশ আরও বড় হচ্ছে। শিশুসাহিত্য ছাড়া একটা দেশ বড় হতে পারে না। তাই আমাদের শিশুসাহিত্যের প্রতি আরও বেশি গুরুত্বারোপ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এসময় তিনটি গ্রুপে মোট ৪৫ জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে বই ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/