ঢাকা: এবার ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা না হলেও ভাষার মাসের প্রথম দিন থেকে রাজধানীর কাঁটাবনে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বই উৎসব।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বই উৎসব সব সময় তরুণ প্রজন্মকে আলোর পথ দেখায়। আমাদের দেশের স্বনামধন্য লেখকদের লেখা অনেক বই নতুন বছরের প্রথমে পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এরকম ছোট ছোট মেলার আয়োজন করলে খুব সহজে পাঠকের হাতে বই পৌঁছে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবিষ্কার প্রকাশনের প্রকাশক দেলোয়ার হাসান। তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি জড়িত হচ্ছেন। তারা সবাই কনকর্ড অ্যাম্পোরিয়ামকে প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে আগ্রহী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন একুশে বই উৎসবের আহ্বায়ক শওকত আলী তারা। তিনি বলেন, অন্য বছর এই সময় আমরা দীর্ঘদিন বই নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আমরা নতুন বই নিয়ে হাজির হই। এবছর করোনা মহামারির কারণে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা দেরি হওয়ার কারণে এই ছোট্ট পরিসরে পাঠকের জন্য আমরা নতুন বই নিয়ে হাজির হয়েছি।
সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই বই উৎসব। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া উৎসবে বই কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ২৫ শতাংশ ছাড়। প্রতিদিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের বইক্রেতাদের মধ্য থেকে তিনজনের জন্য থাকবে বিশেষ পুরস্কার। মানসম্মত নতুন বইয়ের জন্য তিনজন প্রকাশককে দেওয়া হবে সম্মাননা।
এই উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে। উৎসবে বইয়ের আনন্দের পাশাপাশি প্রতিদিন অমর একুশের আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা পাঠের আয়োজন রয়েছে।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, জয়তী, মুক্তচিন্তা, মূর্ধণ্য, গদ্যপদ্য, আবিষ্কার, টাঙ্গন, সংহতি, জাগৃতি, চিরদিন, বেহুলা, মহাকাল, সমগ্র, গণপ্রকাশন, অনুপ্রাণন, অগ্রদূত, বলাকা, কবি, সাহস, আপন প্রকাশ, উজান, প্রকৃতি, খোয়াবনামা, মধ্যমা, দ্বিমিক, অ, পেণ্ডুলামসহ ৫০টি প্রকাশনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এইচএমএস/এএ