ঢাকা: কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৭’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ঝর্না রহমান। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠক।
আগামী ১৬ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে লেখক ঝর্না রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন গবেষক অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। সভাপতিত্ব করবেন অনন্যা-সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ঝর্না রহমান। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ, শিশুসাহিত্য, সংগীত—সবক্ষেত্রেই তার বিচরণ। তবে গল্পকার হিসেবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পরিষদ আয়োজিত একুশে সাহিত্য পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ছোটগল্পে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন ঝর্না রহমান। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬০টির মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সাহিত্যসংগঠন ‘পরণকথা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি ছোট কাগজ ‘পরণকথা’ এর ‘ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর’-এর সম্পাদক।
ঝর্না রহমানের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হলো—ঘুম-মাছ ও এক টুকরো নারী, অগ্নিতা, স্বর্ণতরবারি, কৃষ্ণপক্ষের ঊষা, পেরেক, জাদুবাস্তবতার দুই সখী, বিপ্রতীপ মানুষের গল্প, বিষপিঁপড়ে, তপতীর লাল ব্লাউজ, আয়নামামি। এছাড়া তার লেখা ‘পিতলের চাঁদ’ এবং ‘ভাঙতে থাকা ভূগোল’ উপন্যাস দুটিও বেশ জনপ্রিয়।
বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর একজন নারী-সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত এই পুরস্কার পেয়েছেন—সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, ড. সন্জীদা খাতুন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, ড. নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম মুশতারি শফী, বেগম আকতার কামাল, আকিমুন রহমান ও নাদিরা মজুমদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ