ঢাকা: বিরল এক সময়ের সাক্ষী এখন দেশ। একদিকে স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তী, অন্যদিকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ।
এ দুই আয়োজনকে এক করে বুধবার (১৭ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে ১০ দিনের ‘মুজিব চিরন্তন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মুজিব চিরন্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়া হয়েছে। শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অনুষ্ঠিত মহড়াতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে মুজিব চিরন্তন।
জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ১০ দিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ সশরীরে উপস্থিত থাকবেন।
শিশুশিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হবে অনুষ্ঠান। স্বাগত ভাষণ রাখবেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ। অতিথিদের কাছে স্মারক হস্তান্তর করা হবে মুজিব চিরন্তনের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৬টার পর বাংলাদেশি এবং ভারতীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রথম দিনে রয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিবেশনায় অংশ নিতে ভারতের শিল্পীদের একটি দল ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। এদিন মমতা শংকরের পরিচালনায় ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবর’সহ কয়েকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন ভারতীয় নৃত্যশিল্পীরা। থাকছে মুজিব চিরন্তন থিমের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও। থিম ভিত্তিক সিজি অ্যানিমেশন ভিডিও, মুজিব শতবর্ষের কার্যক্রম ফিরে দেখা, ড্রামা-১, থিমেটিক অডিও-ভিজ্যুয়াল, ড্রামা-২, ভারতের সঙ্গীতজ্ঞ দেবজ্যোতি মিশ্র ও তার দলের বাদ্যযন্ত্র সহযোগে অর্কেস্ট্রা মিউজিকের সঙ্গে গান পরিবেশনা করবেন দেশের খ্যাতমান শিল্পীরা। পরিবেশিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সব গান। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সাদি মোহাম্মদ, রফিকুল আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শিমুল ইউসূফ প্রমুখ।
জয়ঢাক সহযোগে বিশেষ পরিবেশনা নিয়ে শেষ হবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। সবশেষে থাকবে ফায়ার ও লেজার শো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের আবেগের জায়গা। সেই আবেগকে ধারণ করেই সব কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। শুরুতে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সশরীরে উপস্থিতি রেখে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম পার করে ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাহসিকতায় আপসহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সব খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরা হবে এসব অনুষ্ঠানে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
ডিএন/এফএম