বইমেলা থেকে: যদিও এখনো অনেকটাই অগছালো, তবুও ছিমছাম পরিবেশ। হালকা বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময় যত এগোচ্ছে, সন্ধ্যা যত ঘন হচ্ছে ততই পরিবর্তিত হচ্ছে মেলার চেহারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধনের পর মেলার দ্বার খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। এরপর থেকেই একটু একটু করে আসতে শুরু করে মানুষ। দিনের শেষ লগ্নে এসে বাড়ে ভিড়।
প্রথম দিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, দিনের শেষ মুহূর্তে এসে প্রত্যেকের মুখেই যেন উচ্ছ্বাস। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা গড়াতেই প্রাণের মেলা বইমেলায় ভিড় বাড়তে থাকে বইপ্রেমীদের। অনেকেই আসেন প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে। প্রত্যেকেই আশাবাদী, মেলার সামনের দিনগুলো নিয়ে। তবে মেলার অগোছালো ভাব দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই।
বিকেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেলেও বইমেলার ভেতর অধিকাংশ স্টলে এখনও হাতুড়ি-বাটালের ঠক্ ঠক্ শব্দ শোনা যাচ্ছে। কাজ শেষ করে গুছিয়ে উঠতে পারেনি বড় বড় প্যাভেলিয়নগুলোও। এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি বাথরুম, নামাজ আদায় করার কক্ষ, আশ্রয়কেন্দ্রসহ বেশ কিছু অংশ। বেশিরভাগ স্টলেই চলছে কাজ শেষ করার জোর প্রস্তুতি। আর হাতে গোনা কয়েকটি স্টল-প্যাভেলিয়নে বই সাজাতে ব্যস্ত দেখা গেছে প্রকাশকদের।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হলেও দ্রুতই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পুরোদমে বই বিকিকিনির কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা বইয়ের প্রকাশক ও স্টলকর্মীদের।
এই বিষয়ে অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, এবার বাংলা একাডেমি থেকে স্টল/প্যাভেলিয়ন বরাদ্দ পেতে সময় লেগেছে বেশি, ফলে এদিকে সময় কম পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন বলে নিরাপত্তা জনিত কারণে আগের রাতের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হয়। কিন্তু এবার সেই বিষয়টি না থাকায় অনেকেই আস্তে ধীরে কাজ করছেন।
এদিকে মেলার বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে বই দেখেছেন আগত দর্শনার্থীরা। আর মেলার পরিধি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় নতুন বইয়ের পরিচিত গন্ধে প্রাণ ভরে মনোরম সন্ধ্যায় শ্বাস নিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
এইচএমএস/এইচএডি/