সিরাজগঞ্জ: শনিবার (৮ মে) ২৫ বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে ‘লকডাউন’ বলবত থাকায় এ বছরও পঁচিশে বৈশাখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকীতে কোনো কর্মসূচি নেয়নি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, প্রতি বছর কবিগুরুর জন্মদিনে রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে ৩ থেকে ৭ দিনব্যাপী উৎসব কর্মসূচি পালন করতো জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। এই সময়টা সরগরম থাকতো কাচারিবাড়ী। রবীন্দ্রভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হতো কাচারিবাড়ী প্রাঙ্গণ। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকীতে ও কোনো কর্মসূচি পালিত হয়নি। এ বছরও কাচারি বাড়ি প্রাঙ্গণে নেই কোনো উৎসব।
শাহজাদপুরের কবি ও সাংবাদিক কবির আজমল বিপুল জানান, রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাণের কবি। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী আসলেই কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়া। কিন্তু এবার এই করোনাকালে রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি প্রাঙ্গণ যেন উৎসবহীনতায় মৃতপ্রায়। এ উৎসব না হওয়ায় সারাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মী ও রবীন্দ্র ভক্তরাও বঞ্চিত হলো রবীন্দ্র উৎসবের ক্লান্তিহীন আনন্দ থেকে।
শাহজাদপুর উপজেলা সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন জানান, জাতীয়ভাবে বরাবর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়ে আসছে। করোনার ভয়াবহতার কারণে ‘লকডাউন’কে কেন্দ্র করে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভার্চ্যুয়ালভাবে হলেও শাহজাদপুরে বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তী পালন করা উচিত ছিল। যেহেতু দেশে সব কর্মসূচি ভার্চ্যুয়ালভাবে পালন করা হচ্ছে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, ২৫, ২৬, ২৭ শে বৈশাখ তিন দিনব্যাপি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে জন্ম জয়ন্তী নানা আয়োজনে পালন করা হলেও এ বছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুষ্ঠানমালার চিঠি না আসার কারণে তাই ২৫শে বৈশাখ কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার মাহমুদুল হাসান লালন বাংলানিউজকে বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে সব অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণেই এ বছর রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে খুব শিগগিরই ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২১
আরএ