ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বঙ্গমাতা

রাম চন্দ্র দাস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
বঙ্গমাতা

নির্ভীক সহযাত্রী
সঙ্কটে, সংগ্রামে অজেয় প্রেরণাদাত্রী।
পিতা যে প্রদীপ উঁচিয়ে ধরেছে হাতে
তুমি দিয়েছিলে প্রাণের প্রবাহ তাতে
নিভতে দাওনি কখনো সে দীপ, আগলে রেখেছো বুকে
উদ্ধত সব ঝড়ঝঞ্ঝাকে দৃঢ় প্রত্যয়ে রুখে
দ্রোহের প্রদীপ রেখেছো অনির্বাণ
তারই আলোয় আনলেন পিতা জাতির পরিত্রাণ।


যুদ্ধের মাঠে পিতা যবে রত, জীবনযুদ্ধে তুমি ছিলে অবিচল
তুমি জুগিয়েছো অজেয় প্রেরণা পেরোতে বিন্ধ্যাচল
কাঁটায় কাঁটায় ক্ষত পদতল
উর্মিমুখর সাগর অতল
তবুও জননী লক্ষ্যে থেকেছো স্থির
পিতাকে করেছো চির-দুর্বার, দুর্জয় রণধীর।
সুনিপুণ হাতে পিতা বেঁধেছেন জাতির জীবনরেখা
তোমার মোহিনী পরশ সেখানে লিখেছে বিজয়লেখা
তুমি ছিলে সেই বিজয়লক্ষ্মী নারী

নিভৃতে যে জন শাণিত করেছো চেতনার তরবারি
তারই ক্ষুরধার ঘায়ে
ধরাশায়ী হলো দুরাচার যত পিতার দৃপ্ত পায়ে।
চারদিকে ছিল বিছানো অযুত জাল
ছলে বলে ওরা টেনে এনেছিল ভয়াল ক্রান্তিকাল
জাল জঞ্জাল দু’হাতে ফেলেছো ছিঁড়ে
আশার নৌকা ঠিক ভিড়িয়েছো স্বপন-রাঙানো তীরে।
বঙ্গবন্ধু প্রকাশিত রুপে, অন্তরে ছিলে তুমি
তুমি প্রেরণার অপার উৎস, জননী-জন্মভূমি
এই নীলাকাশ, স্নিগ্ধ-বাতাস, অবারিত এই দেশে
অশেষ মায়ায়, শ্যামলিমা ছায় তুমি তো রয়েছো মিশে।
চিরভাস্বর, শ্বাশ্বত এক উজল জীবনগাথা
জীবনযোদ্ধা, পরমারাধ্যা তুমি হে বঙ্গমাতা।

৮ জুন, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ।

লেখক: মহাপরিচালক (গ্রেড-১), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও কবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।