ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নতুন প্রজন্মের জন্য কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে স্মরণ করা জরুরি বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
রোববার (২ জানুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ১০৫তম জন্মজয়ন্তীতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্থাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, অধ্যাপক ড. এম সানোয়ার হোসেন, শওকত ওসমানের পৌত্র ইশরার ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, ধর্মান্ধদের ব্যাপারে বলতে গেলে তিনি জেহাদ করেছেন। অথচ তিনি মাদরাসায় পড়েছেন। যে মানুষগুলো ধর্মকে নিয়ে সাধারণ মানুষকে দ্বিধায় ফেলতো, তাদের দু’চোখে দেখতে পারতেন না। কারণ ধর্মের অনেক কিছুই ওনার পড়া ছিল। এজন্য তিনি অনেক কিছু বুঝতেন। তিনি সাহিত্য দিয়ে ওনার এ বোধগুলো মানুষের মধ্যে জাগ্রত করেছেন। সততার জন্য যদি জীবন দিতে হলেও তিনি রাজি ছিলেন।
তিনি বলেন, সাহিত্যিকদের বার বার স্মরণ করতে হবে নিজেদের স্বার্থে, ওনারা তো চলে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে তাদের স্মরণ করতে হবে। এ মানুষগুলো তো এ মাটিতে ছিলেন।
নতুন প্রজন্মকে সৎ হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজে বড় প্রবলেম সততার। অথচ আমাদের সামনে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন, যিনি একজন আপাদমস্তক সৎ মানুষ। কিন্তু আমরা যারা তার কাছাকাছি আছি, কয়জন যে তার সঙ্গে টিকবো জানি না।
কবি নুরুল হুদা বলেন, তিনি মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। উপন্যাসেও বিষয়গুলো তুলে ধরতেন। ক্রীতদাসের হাসি তেমন একটি উপন্যাস। ক্রীতদাসের হাসি কখন দেখা যায়, যখন তাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। তাকে জয় করে হাসি দেখতে হয়। হাসি মানুষের আত্মার প্রতিধ্বনি। তিনি পরোক্ষভাবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন।
সানোয়ার হোসেন বলেন, নিজের জীবন বিপন্ন করে দেশের জন্য কাজ করেছেন কথাশিল্পী শওকত ওসমান।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এসকেবি/এসআই