ঢাকা: দেশের ১৮তম দফতর হিসেবে দ্রুতই শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে। এ ট্রাস্টের জন্যে প্রধানমন্ত্রী ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের মহাসচিব ও গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কোনো শিল্পী নিজে কিছু পাননি। তারা নিজেদের ডেডিকেশন, মেধা-মনন দিয়ে নিঃস্বার্থ গান গেয়ে চলেছেন।
শিল্পীদের ১৮ দফা দাবির বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করে স্পিকার বলেন, সুসংগঠিতভাবে তিনটি সংগঠন এক হয়েছে, সেটার মধ্যে দিয়ে কার্যকর ফল আসতে আসবে। সংগীতশিল্পীদের জন্যে যে সব অনুষ্ঠানে হয় টেলিভিশন-রেডিওতে সেখানে কিভাবে শিল্পীরা লাভবান হতে পারে সেটা দেখতে হবে।
বাংলার মাটির সঙ্গে সংগীত মিশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংগীত আমাদের জীবনের প্রতিটি পর্বে মিশে আছে। ইতিহাস-কৃষ্টিতে জড়িয়ে আছে। কৃষক ফসল বুনতে গান করে, মাঝি দাঁড় টানে গান গেয়ে, মা গান গেয়ে শিশুকে ঘুম পড়ায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, সংগীতের জাত-ধর্ম-রং নেই, সংগীত মানুষের জন্যে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিংগার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ মহাসচিব কুমার বিশ্বজিৎ, মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি বাংলাদেশ সভাপতি ও সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের অন্যতম মহাসচিব মহাসচিব নকীব খান।
সংগীত এবং সংগীত সংশ্লিষ্ট সবার কল্যাণার্থে সম্মেলনে ১৮ দফা রাখে সংগঠনটি। প্রস্তাবনা সমূহ- মৌলিক সংগীত কর্মে মূল রচয়িতাদের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক অধিকার কপিরাইট আইনের সংশোধন ও বাস্তবায়ন, কপিরাইট সমিতি নিশ্চিত করা, প্রতি বছর মিউজিক্যাল ইম্পর্ট্যান্ড পার্সন (এমআইপি) ঘোষণা, রয়্যালটি নীতিমালা তৈরী, সংগীতের সকল শাখায় গুণী ব্যক্তিদের জাতীয় পদক প্রচলন, গীতিকবি, সুরকার, যন্ত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পীসহ সংগীত সংশ্লিষ্টদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, ওপেন স্পেসসহ একটি পূর্নাঙ্গ অডিটোরিয়াম ও সংগীত একাডেমি স্থাপন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০, জুলাই ১৫, ২০২২
এনবি/এসএ