নবাবগঞ্জ, (ঢাকা): ‘কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিলো কি সু-মধুর, আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনি। কি মধুর আযানের ধ্বণি।
মহাকবি কবি কায়কোবাদ ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ২১ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কবি ছিলেন খাঁটি বাঙালি এবং মুসলমান। জীবনের সুদীর্ঘ ৮২ বছরই তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করেছেন। অসাম্প্রদায়িক আধুনিক শুদ্ধ বাংলায় গীতিকাব্য, কাহিনী কাব্য, কাব্য উপন্যাস রচনা করে গেছেন তিনি।
কবির যেসব কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয়ে ছিল তার মধ্যে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বিরহ বিলাপ’ প্রকাশিত হয় ১৮৭০ সালে ১২ বছর বয়সে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কুসুম কানন’ প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। এ দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর পরই তিনি কবি হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং প্রশংসা পেতে থাকেন। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘অশ্রুমালা’। এ অশ্রুমালা প্রকাশের পর থেকেই কায়কোবাদ সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হন।
এরপর ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয় কবির অমর কাব্য মহাকাব্যগ্রন্থ ‘মহাশ্মশান। এরপর তিনি শিব মন্দির, অমিয় ধারা, মহরম শরীফ বা আত্ম বিসর্জন কাব্য, শ্মশান ভষ্ম তাঁর জীবদ্দশায় এসব গ্রন্থ প্রকাশ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এএটি