ঢাকা: সঙ্গীত ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে কবিগুরুর ৮১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট।
শনিবার (৬ আগস্ট) কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসের সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণের এই আয়োজন।
প্রতিষ্ঠানটির শিল্পীদের কণ্ঠে ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’ দলীয় সংগীতটির মধ্য দিয়েই আসরের উদ্বোধন ঘটে। এরপর একক সংগীত নিয়ে মঞ্চে আসেন সেমন্তী মঞ্জরী, এ টি এম জাহাঙ্গীর, সত্যম্ কুমার দেবনাথ, ফারজানা আক্তার পপি, মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য, সেঁজুতি বড়ুয়া, আবদুল ওয়াদুদ, লাইসা আহমদ লিসা প্রমুখ।
আজি তোমায় আবার চাই শুনাবারে, আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম, সীমার মাঝে, অসীম, তুমি যেতে দাও যেতে দাও গেল যারা, এ সঘন গহন রাত্রি, কোলাহল তো বারণ হল, আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি, যাওয়া-আসারই এই কি খেলা, মেঘলা দিনে, আমারে করো জীবনদান, আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে, যদি হল যাবার ক্ষণ, যে রাতে মোর দুয়ারগুলি, ওই মরণের সাগরপারে, এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও, তোমায় নতুন করে পাব ব'লে ইত্যাদি গানের সুরের মূর্ছনায় আসরে রাবীন্দ্রিক চেতনা ফুটিয়ে তোলে শিল্পীরা।
‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন জহিরুল হক খান। শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ণ সন্ধ্যায়, অনুষ্ঠানে ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’, ও ‘শ্রাবণের গগনের গায়’ গান দুটি পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আসরের সমাপ্তি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর